অভিনেতা আজাদ আবুল কাল‍ামের জন্মদিন আজ

আজাদ আবুল কালাম ২৬ অক্টোবর, ১৯৬৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন বাংলাদেশী অভিনেতা ও নাট্যকার। মঞ্চ নাটক দিয়ে তার অভিনয় জীবন শুরু হয়। পরে তিনি টেলিভিশন নাটক ও চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেন। তার অভিনীত চলচ্চিত্রসমূহ হল কিত্তনখোলা, ফুলকুমার, লালন, খণ্ডগল্প ৭১, বৃহন্নলা, কৃষ্ণপক্ষ। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি নাট্য নির্মাণের সাথেও জড়িত। ২০১৩ সালে তিনি সবুজ ভেলভেট নাটকের জন্য মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার-এ সমালোচক বিভাগে সেরা নাট্যকারের পুরস্কার লাভ করেন।

আজাদ আবুল কালাম “আরণ্যক” নাট্যগোষ্ঠীর সাথে অক্টোবর ১৯৮৫ সাল থেকে দীর্ঘ ১২ বছর সম্পৃক্ত ছিলেন। তার মঞ্চ নাটকে অভিষেক হয় আবদুল্লাহ হেল মাহমুদের নির্দেশনায় নানকের পালা নাটক দিয়ে।

১৯৯৫ সালে আজাদ টেলিভিশন নাটকে প্রথম অভিনয় করেন মামুনুর রশীদ নির্দেশিত বিশ্বাস নাটকে। ১৯৯৭ সালে তিনি “প্রাচ্যনাট” নাট্যদল প্রতিষ্ঠা করেন।

২০০০ সালে কিত্তনখোলা দিয়ে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। যাত্রাদলের সদস্যদের জীবন সংগ্রাম নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন আবু সাইয়ীদ। পরের বছর তিনি আশিক মোস্তফা পরিচালিত ফুলকুমার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ২০০৪ সালে ফকির লালন সাঁইয়ের জীবনীভিত্তিক চলচ্চিত্র লালন এ লালনের যুবক বয়সের চরিত্রে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন তানভীর মোকাম্মেল।

২০০৪ সালে তিনি ঢাকা নাট্য উৎসবের জন্য উদিচী নাট্যগোষ্ঠী থেকে বউ বাসন্তি মঞ্চ নাটক নির্দেশনা করেন। এছাড়া বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে নির্মিত বাবরনামা নাটকের অন্যতম নির্দেশক।

২০০৯ সালে তিনি দ্বৈত জীবন নাটকে অভিনয় করেন। এই নাটকে অভিনয়ের জন্য তিনি ১২তম মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার এ সমালোচক শাখায় সেরা নাট্য অভিনেতা হিসেবে মনোনয়ন লাভ করেন।

২০১১ সালে তিনি বাহাত্তর ঘণ্টা এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক তিনটি চলচ্চিত্র মেহেরজান, খণ্ডগল্প ৭১ ও গেরিলা এ অভিনয় করেন। ২০১২ সালে তিনি সবুজ ভেলভেট নাটকে অভিনয় করেন। এই নাটকের জন্য তিনি সমালোচক শাখায় সেরা নাট্যকার বিভাগে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার লাভ করেন এবং সেরা নাট্য অভিনেতার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ২০১৩ সালে তিনি অনিশ্চিত যাত্রা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।

২০১৪ সালে মুরাদ পারভেজ পরিচালিত বৃহন্নলা চলচ্চিত্রে একজন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার আরজ আলীর চরিত্রে অভিনয় করেন। এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার এ সমালোচক শাখায় সেরা চলচ্চিত্র অভিনেতার পুরস্কারে মনোনীত হন। এ বছর তিনি আদনান তাবাসসুম সৌরভ নির্দেশিত রুদ্ধদ্বার কবি নাটকে কবি ফেরদৌস শাহরিয়ার চরিত্রে এবং নাট্যকার সেতু আরিফের নির্দেশনায় দূরবীন দূরত্ব সময় নাটকে অভিনয় করেন। এছাড়া বাংলাভিশনে প্রচারিত নিয়াজ মাহবুবের নির্দেশনায় কালো মখমল, তার নিজের পরিচালনায় মাছরাঙ্গা টেলিভিশনে প্রচারিত ক্ষণিকালয় ও বিটিভিতে প্রচারিত বনফুলের গান এবং এনটিভিতে প্রচারিত এজাজ মুন্নার যোগাযোগ গোলযোগ ধারাবাহিক নাটকে কাজ করেন। এছাড়া দিলারা হাশেম রচিত গল্প অবলম্বনে এজাজ মুন্নার নির্দেশিত সিগমার টেলিফোন সংলাপ নাটকে অভিনয় করেন। এই নাটকে দীর্ঘ সাত বছর পর তিনি তারিন আহমেদ ও পার্থ বড়ুয়ার সাথে কাজ করেন।

২০১৫ সালে বিজয় দিবসের বিশেষ নাটক বায়োস্কোপ এ একজন বায়োস্কোপওয়ালা চরিত্রে অভিনয় করেন। এই নাটকে তার বিপরীতে অভিনয় করেন রিচি সোলায়মান। নাটকটি ২৩ ডিসেম্বর গাজী টিভিতে প্রচারিত হয়। এই বছর তার রচিত ও নির্দেশিত মঞ্চ নাটক ট্র্যাজেডি পলাশবাড়ি নাটকটি কলকাতায় অনুষ্ঠিত ব্রাত্যজন আন্তর্জাতিক থিয়েটার উৎসবে মঞ্চস্থ হয়।২০১৬ সালে চয়নিকা চৌধুরীর নির্দেশনায় একি সোনার আলোয় নাটকে অভিনয় করেন। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন আফসানা মিমি। নাটকটি ঈদুল আযহায় গাজী টিভিতে প্রচারিত হয়।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

five × 3 =