অভিনেতা খলিলের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা খলিল উল্লাহ খানের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর ঢাকায় স্কয়ার হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। আবুল ফজল মোহম্মদ খলিল উল্লাহ খান ষাটের দশকের বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতাদের একজন। তিনি চলচ্চিত্র ছাড়াও টেলিভিশন নাটকেও জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।

অভিনয়ে গুরত্বপূর্ণ অবদানের কারণে একুশে পদক ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার পান তিনি। বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির দুই মেয়াদে সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তিনি রঙিন নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সিনেমায় মীরজাফরের চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করে দর্শকের কাছে প্রশংসিত হয়েছিলেন।

খলিল উল্লাহ খান ১৯৩৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সিলেটের কুমারপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা পুলিশ অফিসার ছিলেন। তিনি ১৯৪৮ সালে সিলেট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও ১৯৫১ সালে মদনমোহন কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে সিলেট মুরারিচাঁদ কলেজ থেকে তিনি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৫৪ সালে মানিকগঞ্জের রাবেয়া খানমকে বিয়ে করেন। এই দম্পতির পাঁচ ছেলে ও চার মেয়ে।

১৯৫৯ সালে সোনার কাজল ছবিতে প্রথম অভিনয় শুরু করেন। চলচ্চিত্রে আসার পূর্বে বেশ কয়েকটি নাটকেও অভিনয় করেন। তিনি জহির রায়হানের ‘সোনার কাজল’ ছবিতে নায়ক হিসেবে অভিনয় করেন। প্রথম ছবিতে দু’জন নায়িকা ছিলেন—একজন সুমিতা দেবী, অপরজন সুলতানা জামান। জহির রায়হান ছাড়াও সোনার কাজল ছবিটির পরিচালক ছিলেন কলিম শরাফি।

খলিল অভিনীত দ্বিতীয় ছবি প্রীত না জানে রীত। ছবিটি ১৯৬৩ সালের ১৩ জানুয়ারি মুক্তি পায়। খলিলের তৃতীয় ছবি ‘সংগম’। এ ছবিতে খলিল ও সুমিতা দেবী রোমান্টিক নায়ক-নায়িকা। এরপর নায়ক হিসেবে তিনি একে একে অভিনয় করেন — কাজল (১৯৬৫), ক্যায়সে কঁহু (১৯৬৫), ভাওয়াল সন্ন্যাসী (১৯৬৫), বেগানা (১৯৬৬), জংলী ফুল (১৯৬৮) প্রভৃতি ছবিতে। নায়ক হিসেবে খলিলের শেষ ছবি ‘জংলী ফুল’। এটি ১৯৬৮ সালের ২৯ মার্চ মুক্তি পায়। তার নায়িকা ছিলেন সুলতানা জামান। সহ-নায়িকা ছিলেন সুচন্দা।

১৯৭৪ সালে ‘উৎসর্গ’ এবং ‘এখানে আকাশ নীল’ ছবি ২টির মাধ্যমে খলিল চরিত্রাভিনেতারূপে আত্মপ্রকাশ করেন। এস এম পারভেজ পরিচালিত বেগানা ছবিতে প্রথম খলনায়ক হিসেবে খলিল অভিনয় করেন। দু’টি ছবি প্রযোজনা করেছিলেন তিনি। একটি সিপাহী অন্যটি এই ঘর এই সংসার।

আশির দশকে টেলিভিশন পর্দায় আসেন খলিল। তার অভিনীত বিশেষ নাটকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- আব্দুল্লাহ আল মামুনের ধারাবাহিক নাটক সংশপ্তক।

বার্তা২৪

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

1 × 4 =