অভিনেত্রী টাবুর জন্মদিন আজ

৪ নভেম্বর ছিল অভিনেত্রী টাবুর জন্মদিন। ৫৪-তে পা দিয়েছেন তিনি। তার সমসাময়িকরা সকলেই এখন অভিনয় করা কমিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু তিনি যেন নিজেকে প্রতিনিয়ত ভাঙছেন, গড়ছেন। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই কারও সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেই। তবে তার ছবি বাছাই যেন সকলের চেয়ে আলাদা করেছিল তাকে। ‘চাঁদনি বার’ থেকে ‘হায়দার’ সব ছবিতেই নিজের জাত চিনিয়েছেন এই অভিনেত্রী।

আজ বলিউড তারকা টাবুর বয়সের ক্যালেন্ডারে যোগ হলো আরও একটা বছর। আজ টাবুর জন্মদিন।

টাবুর আসল নাম তাবাস্সুম ফাতিমা হাশমি। ১৯৮৫ সালে দেব আনন্দের ‘হাম নওজয়ান’ ছবি দিয়েই অভিনয়ে যাত্রা শুরু তিনি। তবে নায়িকা হিসেবে তার প্রথম ছবি সতীশ কৌশিক পরিচালিত ‘প্রেম’। মজার বিষয় হলো- এই ছবিটির চুক্তির শর্তের কারণে ৫ বছর অন্য কোনো ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হতে পারেননি তিনি।

মূখ্য অভিনেত্রী হিসেবে ১৯৯৪ সালে ঋষি কাপুরের বিপরীতে ‘পেহলা পেহলা পেয়ার’ ছিলো বলিউডে মুক্তি পাওয়া তার প্রথম ছবি। কিন্তু সফলতার মুখ দেখেনি ছবিটি। পরে ‘বিজয়পথ’ দিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। এতে অভিনয়ের সুবাদে সেরা নবাগতা হিসেবে ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড ঘরে তোলেন তিনি।

তবে টাবুর ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট ১৯৯৬ সাল। সেই বছর মুক্তি পায় টাবুর ‘মাচিস’। এতে অভিনয়ের সুবাদে জেতেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

‘মাচিস’ ছাড়াও ১৯৯৬ সালে টাবু অভিনীত আটটি চলচ্চিত্র মুক্তি পায়। ‘সাজান চালে সাসুরাল’ ও ‘জিৎ’ চলচ্চিত্র দুটি ব্যবসাসফল হয় এবং সেই বছরের শীর্ষ পাঁচ ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়।

১৯৯৭ সালে ‘ভিরাসাত’ ছবির জন্য ফিল্মফেয়ার সমালোচক প্রিয় অভিনেত্রী হন তিনি। এরপর ১৯৯৯ সালে ‘হু তু তু’র জন্য ও ২০০০ সালে ‘অস্তিত্ব’র জন্য পরপর দুইবার ফিল্মফেয়ার সমালোচক পুরস্কার পান।

অফট্র্যাক ছবির পাশাপাশি ‘হেরাফেরি’, ‘বিবি নং ওয়ান’ মুভি দিয়ে টাবু প্রমাণ করেন তিনি বাণিজ্যিক ও কমেডি ছবিতেও সমানতালে অভিনয় করতে পারেন।

২০০১ সালে মুক্তি পাওয়া ‘চাঁদনীবার’ ছবির জন্য দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।

২৬ বছরের ক্যারিয়ারে তেলুগু, তামিল, মালায়ালম, মারাঠি এবং বাংলা ভাষার ছবিতে কাজ করেছেন টাবু। তিনি হলিউড ছবিতেও অভিনয় করেছেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

15 − eleven =