অস্ট্রেলিয়া তোপে বিপর্যস্ত নেদারল্যান্ড

সালেক সুফী

টুর্নামেন্ট যতই গভীর হচ্ছে পাঁচ বারের বিশ্ব কাপ চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া ততই নিজের অপ্রতিদ্বন্দী রূপ ফিরে পাচ্ছে। কাল নয়া দিল্লীর অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে টুর্মামেন্টের সবচেয়ে বড় ৩০৯ রানের বিশাল জয় পেয়েছে ক্যাঙ্গারু বাহিনী এই টুর্নামেন্টে কদিন আগেই শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে চমক দেয়া নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে। প্রথমে ব্যাটিং করে আইসিসি সহযোগী দেশের সাদামাটা বোলিং তুলোধুনো করে ৩৯৯/৮ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ব্যাটিং করতে আসলে জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরির আগুনে পুড়িয়ে ডাচদের ৯০ রানে পুড়িয়ে ছার্ খার করলো ক্যাঙ্গারু বাহিনী। বিশাল জয়ে সেমী ফাইনালের পথে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেলো অস্ট্রেলিয়া। অথচ প্রথম দুই ম্যাচে ভারত ,দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে সহজে পরাজিত অস্ট্রেলিয়াকে অচেনা অজানা মনে হচ্ছিলো। বিশ্বকাপ দুর পাল্লার দৌড় প্রতিযোগিতার মত।  বিজয়ী দৌড়বিদরা শেষ ল্যাপ গুলোতে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরে।

দিল্লী উইকেটে রান আছে।  ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নিতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করে নি পাট কামিন্স। শুরুতে আগ্রাসী হওয়ার প্রচেষ্টায় মিচেল মার্শ দ্রুত বিদায় নিলেও দুই বিশস্ত ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নার ( ১০৬) এবং স্টিভ স্মিথ ( ৭১) শক্ত হাতে হাল ধরে. ওদের যোগাযোগে দ্বিতীয় উইকেটে যোগ হয় ১৩২ রান।  ওদের দুজনই কাল ছিল সাবলীল ,সাচ্ছন্দ।  ওয়ার্নার ৯ চার এবং ৮ ছয়ে সাজানো ইনিংসে দুমড়ে মুচড়ে দেয় ডাচ বোলিং।  স্মিথের ৬৮ বলে করা ৭১ রানের ইনিংসে ছিল শিল্পীর রং তুলির প্রলেপ। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ওয়ার্নার , লাবুচ্যাং ( ৬২০ যোগ করে ৮৪ রান. মারকুটে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল শক্ত ভিতের উপর দাঁড়িয়ে ঝড় তোলে।  মাত্র ৪৪ বলে চার ছয়ের ফোয়ারা ছুটিয়ে ম্যাক্সওয়েল ১০৪ রান করে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ( ৩৯৯/৮) ধরা ছোয়ার বাইরে নিয়ে যায়.

এতো বিশাল স্কোর তাড়া করার সামর্থ বা সক্ষমতা ছিল না নেদারল্যান্ড দলের।  বিশাল পুঁজির প্রতিরক্ষায় সংহারী রূপে আবির্ভুত হয় অস্ট্রেলিয়া।  মাত্র ২১ ওভারে টুর্নামেন্টের সব চেয়ে কম স্কোর ৯০ অল আউট হয়ে ৩০৯ রানে হেরে যায় নেদারল্যান্ড। বিশাল ব্যাবধানে জয়ী অস্ট্রেলিয়া সেমী ফাইনাল দৌড়ে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করে।  এডাম জাম্পার ( ৪/৮ ) লেগ স্পিন রহস্য কাল বুঝতেই পারে নি টিউলিপের দেশের মানুষগুলো। মার্শ ( ২/১৯) , পাট কামিন্স (১/১৪) , মিচেল স্টার্ক (১/২২) . জোস্ হেজেলউড ( ১/২৭) সমিল্লিত ভাবে ধসিয়ে দেয ডাচ প্রতিরোধ।  বাংলাদেশ এই ডাচ দলের বিরুদ্ধেই পরের ম্যাচ খেলবে কলকাতায়।

ভালো লাগছে ,উপভোগ করছি পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া দলের স্বরূপে ফিরে আসা। জমে উঠছে সেমী ফাইনালে ওঠার যুদ্ধ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

sixteen + 20 =