লস অ্যাঞ্জেলেসের বিধ্বংসী আগুনে ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন অনেকে। ধ্বংস হয়েছে বহু ঘরবাড়ি। হলিউডসংশ্লিষ্ট অনেকেই রয়েছেন ঘরহারা মানুষের তালিকায়। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে নানাভাবে এগিয়ে এসেছেন তারকারা। লস অ্যাঞ্জেলেসের এই আগুনের সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়েছে হলিউড ইন্ডাস্ট্রিতেও।
বাতিল হয়েছে ‘আনস্টপেবল’, ‘উলফম্যান’, ‘দ্য পিট’, ‘বেটারম্যান’সহ একাধিক সিনেমার প্রিমিয়ার। পিছিয়েছে অনেক জনপ্রিয় শিল্পীর কনসার্ট ও গান প্রকাশের তারিখ। জ্বলতে থাকা লস অ্যাঞ্জেলেসের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। সবার একটাই চিন্তা, কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে! স্বমহিমায় ফিরবে হলিউড।
জানুয়ারি থেকে শুরু হয় হলিউডের অ্যাওয়ার্ড মৌসুম। প্রতি মাসে একাধিক শো আয়োজিত হয়। লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলের ধাক্কায় পিছিয়েছে ক্রিটিকস চয়েস অ্যাওয়ার্ডস, এসিই ইডি অ্যাওয়ার্ডস, পিজিএ অ্যাওয়ার্ডস, প্রডিউসারস গিল্ড ও রাইটার গিল্ডস অ্যাওয়ার্ডস, গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসহ অনেক আয়োজন। শঙ্কা আছে অস্কারের আয়োজন নিয়েও। এরই মধ্যে দুবার পিছিয়েছে মনোনয়ন ঘোষণার তারিখ।
এ আবহে গুঞ্জন রটেছে, বাতিল হতে যাচ্ছে এ বছরের অস্কার আয়োজন। ৯৭তম অস্কার অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা আগামী ২ মার্চ। তবে সেটি আপাতত হচ্ছে না বলে জানিয়েছে দ্য সান। খবরে বলা হয়েছে, লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলের ঘটনায় এবারের অস্কার আয়োজন বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তাই শেষ পর্যন্ত বাতিল হতে যাচ্ছে ২ মার্চের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান। অস্কারের ৯৬ বছরের ইতিহাসে এ ঘটনা এবারই প্রথম ঘটতে যাচ্ছে।
তবে দ্য সানের এ খবরটি সত্য নয় বলে হলিউড রিপোর্টারকে জানিয়েছেন অস্কার আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত একাধিক সিনিয়র সদস্য। তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁরা প্রতিদিনই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। অস্কার অনুষ্ঠানের এখনো অনেকটা সময় আছে। অনুষ্ঠান বাতিল হওয়ার কোনো আশঙ্কা তো নেই-ই, পেছানোর কথাও ভাবা হচ্ছে না।
তা ছাড়া, এ পরিস্থিতিতে অস্কার আয়োজনটি করা আরও প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হতে পারে এ আয়োজন। এরই মধ্যে অস্কার অনুষ্ঠানের জন্য এক হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে আয়োজকেরা নিশ্চিত করেছেন, অস্কার আয়োজন ২ মার্চ থেকে নড়চড় হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।