আজও দর্শক হৃদয়ে রাজ করছেন সালমান শাহ

দেশীয় সিনেমার আধুনিকতা এবং হাল ফ্যাশনের রূপকার ছিলেন সালমান শাহ। সাবলীল অভিনয় গুণে অতি অল্প সময়ে দর্শকদের হৃদয়ে পাকাপোক্ত অবস্থান তৈরি করে নিতে সক্ষম হন তিনি।

আজও তার অভিনীত কোনো সিনেমা বা গানের দৃশ্য দেখলে নিজের অজান্তে দুই চোখ অশ্রুসিক্ত হয়। অকালপ্রয়াত এই অভিনেতার কথা মনে পড়লে আজও ভক্তদের বুকের ভেতরটা যেন হাহাকার করে ওঠে!

বেঁচে থাকলে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বাংলা চলচ্চিত্রের ক্ষণজন্মা চিত্রনায়ক সালমান শাহর বয়স হতো ৫৩ বছর। হয়তো এই বয়সেও অজস্র ভক্ত-দর্শকদের অভিনয় মুগ্ধ করতে পারতেন তিনি। কিন্তু তা আর হলো না। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অকালে চলে যেতে হয়েছে এই বিস্ময় বালককে। তাকে ছাড়াই ২৭ বছর ধরে প্রিয় নায়কের জন্মদিন পালন করছেন সালমানভক্তরা।

১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেট নগরীর দাড়িয়াপাড়ায় সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে সালমান শাহ জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রকৃত নাম ছিল শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। তার বাবা কমরউদ্দিন চৌধুরী ছিলেন একজন সরকারি কর্মকর্তা এবং তার মা নীলা চৌধুরী এক সময়ে রাজনীতি করতেন।

বিটিভিতে অভিনয় করে শিশুশিল্পী হিসেবে সালমান শাহর ক্যারিয়ার শুরু হয়। অভিনয় করেছেন টিভি নাটক ও বিজ্ঞাপনে। ‘আকাশ ছোঁয়া’, ‘দোয়েল’, ‘সব পাখি ঘরে ফেরে’, ‘সৈকতে সারস’, ‘নয়ন’ ও ‘স্বপ্নের পৃথিবী’তে নাটকে তাকে অভিনয় করতে দেখা গেছে।

১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে সালমান শাহর। প্রথম সিনেমাতেই দর্শকদের মন জয় করে নেন তিনি। তাই এরপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।

১৯৯৩ থেকে ১৯৯৬ সাল, মাত্র তিন বছরে তিনি অভিনয় করেছেন ২৭টি সিনেমাতে। এর মধ্যে বেশিরভাগ সিনেমাই ছিল হিট।

সালমান শাহ অভিনীত সিনেমাগুলো হলো- কেয়ামত থেকে কেয়ামত (বিপরীতে মৌসুমী), তুমি আমার (শাবনূর), অন্তরে অন্তরে (মৌসুমী), কন্যাদান (লিমা), জীবন সংসার (শাবনূর), চাওয়া থেকে পাওয়া (শাবনূর), সুজন সখী (শাবনূর), বুকের ভেতর আগুন (শাবনূর), এই ঘর এই সংসার (বৃষ্টি), স্নেহ (মৌসুমী), বিচার হবে (শাবনূর), প্রেমযুদ্ধ (লিমা), মহা মিলন (শাবনূর), তোমাকে চাই (শাবনূর), বিক্ষোভ (শাবনূর), আশা ভালোবাসা (শাবনাজ), মায়ের অধিকার (শাবনাজ), আঞ্জুমান (শাবনাজ), আনন্দ অশ্রু (শাবনূর), প্রেম পিয়াসী (শাবনূর), সত্যের মৃত্যু নেই (শাহনাজ), প্রিয়জন (শিল্পী), শুধু তুমি (শ্যামা), স্বপ্নের পৃথিবী (শাবনূর), স্বপ্নের নায়ক (শাবনূর), দেন মোহর (শাবনূর) ও স্বপ্নের ঠিকানা (শাবনূর)।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

one × 1 =