আজিজুল হাকিমের ঈদের টেলিফিল্ম ‘বাক্স’

‘বাক্স’ টেলিফিল্ম পরিচালনা করেছেন আজিজুল হাকিম।এর গল্প ও চিত্রনাট্য করেছেন এবং সার্বিক নির্দেশনা দিয়েছেন ড. মইনুল খান। গুলশানের একটি অভিজাত বাড়িতে টেলিফিল্ম এর শুটিং সম্পন্ন হয়েছে।এখন এডিটিং এর কাজ চলছে।

বাক্স এনটিভি-তে ঈদের পূর্বের দিন শনিবার (৯ জুলাই) বিকেল ৩-১৫ টায় প্রচারিত হবে। ঈদ উপলক্ষে এই টেলিফিল্ম নির্মাণ করা হয়েছে। অভিনয় করেছেন ডলি জহুর, আল মামুন, রাশেদ সীমান্ত, অহনা রহমান, তানিয়া, শহীদুজ্জামান সেলিম, নাজাহ, খালিদ মাহমুদ, জিয়াউল হক মাসুদ প্রমুখ।

টেলিফিল্মটি মূলত একটি পারিবারিক ঘটনা। উচ্চবিত্তের নানা সঙ্কটকে উপজীব্য করে এটি রচিত হয়েছে।টাকা, ডলার ও গয়নার একটি বাক্সকে কেন্দ্র করে রহস্য তৈরি হয়।এই রহস্য উম্মোচনের মধ্য দিয়ে উচ্চবিত্ত পরিবারের জীবনবোধ উঠে আসে।

নাট্যকার ড. মইনুল খান এর মাধ্যমে সচেতনভাবে উচ্চবিত্তের কিছু সঙ্কটকালীন জীবনবোধকে তুলে ধরেছেন।নাট্যকারের  মতে, আমরা অনেকে মূল্যবোধকে ডিঙিয়ে ধন-সম্পত্তির দিকে ঝুঁকি, আর ভাবি ওটাতে সর্বসুখ নিহিত।ফলে নানা ধরণের দ্বান্দিকতা তৈরি হতে থাকে যাতে যুক্ত হয় হতাশা; গ্রাস করে সহজজীবন।এমন একটি বিষয়কে সামনে রেখে স্ক্রিপ্ট তৈরি করা হয়েছে।

পরিচালক আজিজুল হাকিমের মতে, নাটকটিতে আদর্শগত একটি জায়গা রয়েছে।শুধুই বিনোদন নয়, সমাজের মূল্যবোধকে জাগ্রত করাও নাটকের উদ্দেশ্য হওয়া দরকার। টেলিফিল্মটি পরিচালনার সময় ঐ দায়িত্বটা বারবার মনে এসেছে।আমরা অনেকে আসলে ছায়ার পেছনে দৌড়াই; কিন্তু এতে শান্তি বিঘ্নিত হয়।নাটকটি আমরা এধরনের বার্তা পাবো। নাট্যকার ড. মইনুল খান এরকম আরেকটি নাটক ‘সুখপাখি’ লিখেছিলেন, যা অনেক দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে।এধরনের পারিবারিক নাটকের এখনও অনেক আবেদন রয়েছে বলে পরিচালক আজিজুল হাকিম মনে করেন।আশা করি ‘বাক্স’ আবারো দর্শকদের মন ছুয়ে যাবে।

টেলিফিল্মটিতে ৩০ জন আর্টিস্ট অভিনয় করেছেন।কেন্দ্রীয় চরিত্রে রাশেদ সীমান্তকে বৈশাখী টিভি-র বাইরে এবারই প্রথম দেখা যাবে।রাশেদ সীমান্ত বলেন, আমি নাটকে বরাবরই অভিনয়ের জায়গা খুঁজি।বাক্স টেলিফিল্মে একটি পরিবারের ভিন্নতর চরিত্র পেয়ে আমি খুবই খুশী।নাট্যকার ড. মইনুল খান ও পরিচালক আজিজুল হাকিম আমাকে এই সুযোগটি দিয়েছেন।

বার্তা২৪

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

6 − 3 =