আজ বিপাশা হায়াতের জন্মদিন

নব্বই দশকে টেলিভিশন পর্দার এক অপরিহার্য নাম বিপাশা হায়াত। প্রায় তিন দশকের বেশি সময় ধরে নিজ মহিমায় শিল্পচর্চা করে চলেছেন তিনি। শুধু অভিনয়ই নয়, দর্শকদের মন জয় করেছেন একজন সফল নাট্যনির্মাতা হিসেবেও। অভিনেত্রী ও নাট্য নির্মাতা ছাড়াও চিত্রশিল্পী হিসেবেও বেশ পরিচিতি আছে বিপাশার। সমানতালে সামলাচ্ছেন সংসার ও সন্তান।

আজ তার জন্মদিন। ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বিপাশা হায়াত প্রখ্যাত অভিনেতা আবুল হায়াতের বড় মেয়ে। আশির দশকে ‘খোলা দুয়ার’ নাটকে বাবার মেয়ে হয়েই অভিনয় শুরু করেছিলেন তিনি। এরপর যুক্ত হন নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়ে। টিভি নাটকে প্রথমে আলোচনায় আসেন ‘অয়োময়’ ধারাবাহিক দিয়ে।

১৯৯৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে মাস্টার্স করেছেন এই গ্ল্যামারাস অভিনেত্রী। পড়াশোনার পাশাপাশি অভিনয় করে দর্শকের ভালোবাসা পেয়েছেন। একসময় টিভি নাটকে তৌকীর-বিপাশা জুটি খুব জনপ্রিয় ছিল। অভিনয় করেছেন চলচ্চিত্রেও।

নব্বইয়ের দশকে বিপাশা হায়াতের উত্থান টিভি নাটকের মধ্য দিয়ে। ক্যারিয়ারে নাটক ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করে অনেক চরিত্রকেই তিনি জীবন্ত করে তুলেছেন। তার অর্জনের ঝুলিতে আছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও। হুমায়ূন আহমেদের ‘আগুনের পরশমণি’তে অভিনয় করে এই পুরস্কার জয় করে নেন তিনি।

অভিনেতা ও নির্মাতা তৌকীর আহমেদের সঙ্গে বিয়ের পর অভিনয় ছেড়ে সংসারে মনোযোগী হয়ে পড়েন বিপাশা। এই দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে। বড় মেয়ে আরিশা আহমেদ, ছোট ছেলে আরিব। সংসার সামলানোর পাশাপাশি বর্তমানে ছবি আঁকা ও চিত্রনাট্য লেখা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। জয়নুল গ্যালারি, প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের ডিভাইন আর্ট গ্যালারিসহ দেশে-বিদেশে বহু স্থানে বিপাশার আঁকা ছবির প্রদর্শনী হয়েছে।

এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ‘জয়যাত্রা’ ছবিতেও আজিজুল হাকিমের বিপরীতে অনবদ্য অভিনয় করেন তিনি। এটি পরিচালনা করেছিলেন বিপাশার স্বামী তৌকীর আহমেদ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

twenty − sixteen =