আনিসুর রহমান মিলনের জন্মদিন আজ

আনিসুর রহমান মিলন ৩ জুন ১৯৭৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মিলন নামে পরিচিত একজন বাংলাদেশী অভিনেতা। তার অভিনয় জীবন শুরু হয় মঞ্চে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। পরে তিনি টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তিনি সালাউদ্দিন লাভলু পরিচালিত রঙের মানুষ ধারাবাহিকে অভিনয় করে প্রথম পরিচিতি লাভ করেন। এই নাটকের জন্য তিনি ইউরো সিজেএফবি পারফরম্যান্স পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৫ সালে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় সুচন্দা পরিচালিত হাজার বছর ধরে চলচ্চিত্রে করিম শেখ নামে একটি ছোট চরিত্রে অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে। ২০০৬ সালে তিনি মধুময়রা টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেন। নাটকটি তাকে সেরা টিভি অভিনেতা বিভাগে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার এনে দেয়। ২০০৮ সালে তিনি তারকা সমৃদ্ধ চলচ্চিত্র দ্য লাস্ট ঠাকুর চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ২০১০-এর দশকে তার অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হল দেহরক্ষী (২০১৩), পোড়ামন (২০১৩), লালচর (২০১৫), এবং রাজনীতি (২০১৭)।

মিলন ১২ বছর বয়সে তার অভিনয় জীবনের শুরু করেন আর্তনাদ থিয়েটারের সাথে যুক্ত হয়ে। এরপর তিনি কিছুদিন ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডেমোক্রেসি ওয়াচের একটি প্রকল্পে কাজ করেন। পরে একটি ব্যাংকে চাকরি করেছেন। পরবর্তীতে এই চাকরি ছেড়ে তিনি অভিনয়কে পেশা হিসেবে গ্রহণ করে। সালাউদ্দিন লাভলুর পরিচালনায় চ্যানেল আইয়ের টেলিভিশন ধারাবাহিক “রঙের মানুষ” এ অভিনয় করে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন।

মিলন অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র হাজার বছর ধরে (২০০৫)।এতে তিনি নৌকার মাঝি করিম শেখ চরিত্রে অভিনয় করেন। ঔপন্যাসিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা জহির রায়হান রচিত একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে ছবিটি পরিচালনা করেন রায়হানের সহধর্মিনী সুচন্দা। ২০০৬ সালে তিনি “জয়িতা”, “প্রজাপতিকাল”, “হাটকুড়া”, “মধুময়রা”, “অতঃপর” টেলিভিশন চলচ্চিত্রের অভিনয় করেন। মধুময়রা নাটকে অভিনয়ের জন্য তিনি ৯ম মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারে সমালোচক শাখায় সেরা টিভি অভিনেতা বিভাগে পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৭ সালে এনটিভিতে প্রচারিত হয় তার অভিনীত টেলিভিশন ধারাবাহিক ১১১ এ নেলসন নাম্বার। একটি ডর্মিটরির রুম নিয়ে গল্পটি আবর্তিত হয়। চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ প্রযোজিত ধারাবাহিকটি পরিচালনা করেন নাঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল। এরপর তাকে সাদিক আহমেদ পরিচালিত তারকা সমৃদ্ধ চলচ্চিত্র “দ্য লাস্ট ঠাকুর” সিনেমায় অভিনয় করতে দেখা যায়।

মিলন ১৯৯৯ সালে লুসি গোমেজকে বিয়ে করেন। তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটলে ২০১২ সাল থেকে তারা আলাদা বাস করতে শুরু করে। ২০১৩ সালে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তার ছেলে নাম মিহ্রান রহমান। এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী পলি আহমেদকে বিয়ে করেন। যিনি ২০২২ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে অকাল প্রয়াত হন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

11 + eighteen =