আফগানিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপে টিকে থাকতে চায় বাংলাদেশ

আগামীকাল পাকিস্তানের লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখতে বদ্ধপরিকর বাংলাদেশ।

আফগানদের বিপক্ষে টাইগারদের  বাঁচা-মরার ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময়  বিকেল ৩.৩০ মিনিটে।

এবারের আসরে নিজেদের প্রথম  ম্যাচে  সহ-আয়োজক শ্রীলংকার কাছে ৫ উইকেটে হেরে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে বাংলাদেশের। এই ফরম্যাটে গ্রুপ পর্বে প্রতিটি দল দু’টি করে ম্যাচ খেলবে। গ্রুপ পর্বে তিন দলের মধ্যে সেরা দু’দল পরের রাউন্ডে খেলার সুযোগ পাবে।

প্রথম ম্যাচ হেরে এশিয়া কাপে গত আসরে  চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো শ্রীলংকা। পরবর্তী যাই হোক না কেন, আফগানিস্তানকে হারিয়ে সুপার ফোরে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখাই প্রধান লক্ষ্য বাংলাদেশের।

কালকের ম্যাচে বাংলাদেশ জয় পেলে  নিজেদের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে হলে  পরের ম্যাচে শ্রীলংকাকে অবশ্যই হারাতে হবে আফগানিস্তানকে। যা নিঃসন্দেহে তাদের জন্য কঠিন কাজ হবে।

গত জুলাইয়ে বাংলাদেশ সফরে ২-১ ব্যবধানে তিন ম্যাচের ওয়ানডে জেতায়  কাল  কিছুটা হলেও মানসিকভাবে এগিয়ে থাকবে আফগানিস্তান দল। ঐ সিরিজে তামিম ইকবালের অবসরের নাটকের পর ২০১৫ সাল থেকে ইংল্যান্ডের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে বাংলাদেশের মাঠে আধিপত্য বিস্তার করে ওয়ানডে  সিরিজ জিতেছিল  আফগানিস্তান।

পরিসংখ্যানের দিক দিয়ে আফগানিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশই। ১৪ ম্যাচের মধ্যে ৮টিতে জয় ও ৬টিতে হেরেছে টাইগাররা।

তবে শ্রীলংকার বিপক্ষে বাংলাদেশের নড়বড়ে ব্যাটিং পারফরমেন্সের পর প্রশ্ন উঠেছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টাইগাররা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কিনা ।

লংকার বিপক্ষে  ম্যাচে ৪২ দশমিক ৪ ওভারে ১৬৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। দলের হয়ে একা লড়াই করে ৮৯ রানের ইনিংস খেলা নাজমুল হোসেন শান্ত জানান, বাজে শুরুর পরও ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য রাখে টাইগাররা।

নাজমুল বলেন, ‘আমরা এখন ভারত ও পাকিস্তান নিয়ে ভাবছি না। এই মুহুর্তে আমরা আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ভাবছি। পাকিস্তানে  আমমরা  একটি ভাল ম্যাচের প্রত্যাশা করছি ।’

তিনি আরও বলেন, ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজে ভালো করতে না পারলেও, টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছি আমরা। কিন্তু আমরা অতীত নিয়ে ভাবছি না। নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে  আফগানিস্তানের বিপক্ষে ভালো  কিছু হবে  বলেই আমাদের বিশ্বাস । আমি মনে করি, আমাদের খুব বেশি চিন্তা করার দরকার নেই। আফগানিস্তানের বিপক্ষে কিভাবে ভালো করা যায় সেদিকে আমাদের মনোযোগ দেওয়া উচিত।’

আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলতে ইতোমধ্যেই লাহোরে পৌঁছেছে এবং অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ। ইতিবাচক দিক হচ্ছে লাহোরের উইকেট সাধারণত ব্যাটিং সহায়ক হয়ে থাকে।

বাংলাদেশ দল: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ, মাহেদি হাসান, নাইম শেখ, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, তানজিদ হাসান তামিম, তানজিম হাসান সাকিব ও এনামুল হক বিজয়।

আফগানিস্তান দল: হাশমতউল্লাহ শাহিদি (অধিনায়ক), ইব্রাহিম জাদরান, রহমানউল্লাহ গুরবাজ, রিয়াজ হাসান, রহমত শাহ, নাজিবুল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবী, ইকরাম আলিখিল, রশিদ খান, গুলবাদিন নাইব, করিম জানাত, আব্দুল রহমান, শরফউদ্দিন আশরাফ, মুজিব উর রহমান, নুর আহমেদ, সুলিমান সাফি ও ফজলহক ফারুকি।

বাসস

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

1 × 2 =