আবারও সেরা অভিনেত্রী কঙ্গনা

এই নিয়ে চতুর্থবারের মতো ভারতীয় চলচ্চিত্রের জাতীয় পুরস্কার নিজের ঝুলিতে পুরে ফেললেন কঙ্গনা। এবছর ‘মণিকর্ণিকা’ ও ‘পাঙ্গা’ ছবির জন্যই কঙ্গনা পেলেন সেরা অভিনেত্রীর এই সম্মান। এর আগে ২০১৫ সালে ‘কুইন’ এবং ২০১৬ সালে ‘তন্নু ওয়েডস মন্নু’-র জন্য সেরা অভিনেত্রীর জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন কঙ্গনা। আর এর আগে ২০১০ সালে ‘ফ্যাশন’ ছবির জন্য সেরা-সহঅভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছিলেন তিনি।

এই আয়োজনে ৫১তম দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে পুরস্কৃত হন দক্ষিণী মেগাস্টার রজনীকান্ত। ‘ভোঁসলে’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেতা হিসেবে মনোজ বাজপেয়ী এবং তামিল ছবি ‘অসুরণ’-এ অভিনয়ের জন্য ধনুশ সেরা অভিনেতা হিসেবে এদিন পুরস্কার পান। সেরা হিন্দি ছবির সম্মান পেল প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের ‘ছিঁছোরে’। দিল্লির বিজ্ঞানভবনে আজ (২৫ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হয়েছে ভারতের ৬৭তম ন্যাশনাল ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডস। অনুষ্ঠানে পুরস্কার প্রাপকদের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছেন ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু। করোনার কারণে এক বছর পিছিয়ে যাওয়ার পর গত মার্চে ঘোষিত হয়েছিল বিজয়ীদের নাম।

বলিউডের বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু মানেই অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। প্রথম থেকেই সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুরহস্য নিয়ে সরব তিনি। সুশান্তের মৃত্যুতে বলিউডের নেপোটিজম, ফেভারিটিজম এবং নানা অন্ধকার দিক তুলে একের পর এক মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে উঠে আসেন এই অভিনেত্রী। বিতর্কের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে গিয়েছে তার নাম। কিন্তু এই বিতর্কে জড়াতে গিয়ে পড়লেন আইনি বিপাকেও। একের পর এক মামলা দায়ের করা হয় তার বিরুদ্ধে। তবুও কঙ্গনা রানাওয়াতকে দমাতে পারেনি কেউ-ই। সব বিতর্ককে পাশে রেখে ফের কঙ্গনা প্রমাণ করলেন তিনিই বলিউডের কুইন।

সারাবাংলা

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

nineteen − nineteen =