সম্প্রতি সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিনে তার বাড়ি গিয়েছিলেন সব্যসাচী চক্রবর্তী। সেখানেই তিনি একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘বয়স বাড়ছে, তাই একটু বিরতি নিয়েছি। কিন্তু আমি এখনই অবসর নিচ্ছি না। আর কোনওদিন অভিনয় করব না এমনটাও নয়।’
এদিন তিনি এক সাক্ষাৎকারে সকলের ভুল ভাঙিয়ে বলেন, ‘আমাকে লাগাতার প্রশ্ন করা হচ্ছিল যে আমি আমার কবে পর্দায় ফিরব। তখন আমি বিরক্ত হয়ে জানি না বলায় সবাই যখন জিজ্ঞেস করে আমি অবসর নিচ্ছি কি না আমি ‘তাহলে তাই’ বলে দিই। আসলে আমি বিরক্ত হয়ে গেলে এমনই উত্তর দিই। আমার সেই কথারই ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে।’ তিনি এদিন আরও বলেন, ‘আমি এখন অনেক কম কাজ করি। কাজ করা অনেক কমিয়েছি এটা ঠিক, কিন্তু তার মানে এটা নয় যে আমি অবসর নিচ্ছি। ধরুন আমায় কেউ চা খেতে দিল আমি বললাম খাব না। তার মানে কি আমি চা খাওয়া ছেড়ে দিচ্ছি নাকি?’
গত জানুয়ারি মাসে অভিনেতা বাংলাদেশ গিয়েছিলেন। তিনি সেখানে ২১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নেন। আর সেখানেই একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন যে তিনি আর অভিনয় করতে চান না। তার কথায়, ‘আমার বয়স হয়েছে। এবার নতুনদের জন্য আমার জায়গা ছেড়ে দেওয়া উচিত।’
বাংলাদেশে গিয়ে এই বিষয়ে উত্তর দিয়েছিলেন সব্যসাচী নিজেই, সবাই তার ভুল অর্থ বোঝে। কিন্তু এবার গোটা বিষয়ে মুখ খুললেন অভিনেতা। বললেন তিনি যা বলতে চেয়েছিলেন সেটাকে সকলে ভুল বুঝেছেন। অর্থাৎ তিনি অবসর নিচ্ছেন না।
ফেলুদা, এই নামটা শুনলেই যেমন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের নামটা মনে আসে, তেমনই তারপর সবার যার নাম সব থেকে বেশি মনে পড়ে তিনি হলেন সব্যসাচী চক্রবর্তী। বাঙালির পছন্দের ফেলুদাকে নিয়েই কয়েক মাসে এক মিথ্যে রটনা রটে যায়। শোনা যায় তিনি নাকি অবসর নিতে চলেছেন।
তার অবসর নিয়ে যখন নানা কল্পনা, গুজব ছড়ায় তখন তার কোনও প্রতিক্রিয়াও পাওয়া যায়নি। অভিনেতা বারংবার একটাই কথা বলেছেন, এবং আজকাল হামেশাই বলেন, সেটা হল তিনি নাকি বড় ক্লান্ত। তার কথায়, ‘আমি ক্লান্ত। দুবার করোনা হওয়ায় আমি ভীষণই কাহিল হয়ে পড়েছি।’