আরো শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসার প্রত্যাশা নেইমারের

গোড়ালির ইনজুরির কারণে আগামী তিন থেকে চার মাসের জন্য মাঠের বাইরে চলে গেছেন পিএসজি ফরোয়ার্ড নেইমার। কার্যত পুরো মৌসুমের জন্যই এই ব্রাজিলিয়ান তারকা ছিটকে গেছেন বলে পিএসজি জানিয়েছেন। তবে আরো শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নেইমার।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি লিগ ওয়ানে লিলির বিরুদ্ধে খেলতে গিয়ে নেইমার গোড়ালির ইনজুরি পড়েন। সাম্প্রতিক সময়ে এই ডান গোড়ালির ইনজুরিতে নেইমারকে বেশ কয়েকবার মাঠের বাইরে চলে যেতে হয়েছে। বড় ধরনের কোন ঝুঁকি এড়ানোর লক্ষ্যে ক্ষতিগ্রস্থ লিগামেন্টে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়েছে বলে পিএসজির মেডিকেল টিমের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

টুইটারে আত্মবিশ্বাসী নেইমার লিখেছেন সাম্প্রতিক এই ইনজুরিতে তিনি মোটেই হতাশ নন। আরো বেশি শক্তিশালী হয়েই তিনি মাঠে ফিরবেন।

পিএসজির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দোহায় নেইমারের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হবে। পুরোপুরি সুস্থ হয়ে অনুশীলনে ফিরতে তিন থেকে চার মাস সময় লাগবে। আর এ কারণেই ধরে নেয়া হয়েছে চলতি মৌসুমে নেইমারের আর মাঠে নামান সম্ভব নয়। আগামী ৩ জুন লিগ ওয়ান মৌসুম শেষ হচ্ছে। আর পিএসজি যদি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে যায় তবে সেটা পরের সপ্তাহে ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত হবে।

পিএসজি এখনো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলর প্রথম লেগে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ১-০ গোলে পরাজিত হয়ে বিদায়ের শঙ্কায় রয়েছে। কাল এই দুই দল দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে মাঠে নামবে।

এবারের মৌসুমে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সেইমার ১৮ গোল করেছেন। বিশ্বকাপ বিরতির আগে ফরাসী চ্যাম্পিয়নদের হয়ে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন এই ব্রাজিলিয়ান। ৩১ বছর বয়সী কাতার থেকে ফিরে নয় ম্যাচে মাত্র ৩ গোল করেছেন। কাতারেও ব্রাজিলের হয়ে খেলতে গিয়ে একই গোড়ালির ইনজুরিতে পড়েছিলেন। বিশ্বকাপে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে ২-০ গোলে জয়ের প্রথম ম্যাচটিতে ইনজুরিতে পড়ে গ্রুপ পর্বে আর খেলতে পারেননি। বার্সেলোনারা সাবেক এই তারকা নক আউট পর্বে ফিরে আসেন। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিল ক্রোয়েশিয়ার কাছে পেনাল্টিতে পরাজিত হয়ে বিদায় নেয়।

বিশ্বকাপে এর আগেও তিনি ইনজুরিতে পড়েছেন। ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে কোয়ার্টার ফাইনালে কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে তিনি গুরুতর ইনজুরিতে পড়ে আসর থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন। পরের ম্যাচে সেমিফাইনালে ব্রাজিল জার্মানীর কাছে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল।

নেইমারের ইনজুরি পিএসজির জন্য নিয়মিত শঙ্কায় পরিণত হয়েছে। ২০১৭ সালে রেকর্ড ২২২ মিলিয়ন ইউরোতে বার্সেলোনা থেকে আসার পর থেকেই নেইমার নিয়মিত বিরতিতে ইনজুরিতে ভুগেছেন। পিএসজির হয়ে এ পর্যন্ত ১৭৩ ম্যাচে ১১৮ গোল করেছেন। কিন্তু ইনজুরি কিংবা নিষেধাজ্ঞার কারনে মিস করেছেন ১০০রও বেশী ম্যাচ। লিগে তিনি পিএসজির হয়ে এ পর্যন্ত মাত্র ৪৯ শতাংশ ম্যাচ খেলেছেন (২২৮ ম্যাচের মধ্যে ১১২টি)।

পিএসজিতে প্রথম মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলর দ্বিতীয় লেগে খেলতে পারেননি, ম্যাচটিতে পিএসজিতে হেরে যায়। ঐ মৌসুমে ক্লাবের হয়ে আর খেলতে পারেননি। রাশিয়া বিশ্বকাপেও সে কারণেই ব্রাজিলের জার্সি গায়ে মাঠে নামতে পারেননি। পরের বছর পেশীর ইনজুরির কারনে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে শেষ ষোলর ম্যাচে খেলতে পারেননি।

বাসস

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

1 + 17 =