ইতালীয় সিনেমার ‘কুইন’ মনিকা মারা গেছেন

মনিকা ভিত্তিকে বলা হতো, ‘কুইন অব ইটালিয়ান সিনেমা’। মিকালেঞ্জেলো আন্তোনিয়োনি পরিচালিত একাধিক কালজয়ী ছবির সুবাদে পরিচিতি ও খ্যাতি পেয়েছিলেন তিনি।বিখ্যাত এ অভিনেত্রী আর নেই। বুধবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন মনিকার স্বামী রবার্তো রুসো। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।

গত ১৫ বছর ধরে আলঝেইমার রোগে ভুগছিলেন মনিকা ভিত্তি। তার প্রয়াণে ইতালির স্বর্ণযুগের একটি অধ্যায়ের পর্দা নামলো।১৯৩১ সালের নভেম্বরে রোমে জন্ম মনিকার, ছোটবেলা থেকেই পারফর্মিং আর্টে ছিলেন দক্ষ। একাকিত্ব কাটানোর জন্য পরিবারের বাকিদের পুতুলনাচ দেখাতেন তিনি।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন কম বয়সেই আকৃষ্ট হন থিয়েটারে। পরবর্তী কালে মনিকার সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায়, যুদ্ধের সময়ে যখন বোমা পড়ত, তিনি ও তার ভাই মিলে সেই ঘটনার অভিনয় করে বিনোদন জোগাতেন পরিবারের ভয়ার্ত সদস্যদের।

রোমের ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব ড্রামাটিক আর্টস থেকে পাস করেছিলেন মনিকা। সেখান থেকেই আন্তোনিয়োনির নজরে পড়েন। দু’জনের মধ্যে শৈল্পিক মেলবন্ধন গড়ে ওঠে। ১৯৬০ সালের ‘লা আভেন্তুরা’ (দি অ্যাডভেঞ্চার) ছবিতে নির্যাতিতা নারীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন মনিকা, যার বন্ধুর প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়। এই ছবি রাতারাতি সাফল্য এনে দিয়েছিল মনিকাকে।এ ছাড়া আন্তোনিয়োনির ‘লা নত্তে’, ‘দি এক্লিপ্স’র মতো আন্তর্জাতিকমানের সব ছবিতে অভিনয় করেন মনিকা ভিত্তি।  অভিনয় করেছেন তার সময়ের বিখ্যাত নির্মাতাদের সঙ্গে।

সত্যজিৎ রায়ও মনিকার অনুরাগী ছিলেন। অভিনেত্রীর একটি প্রতিকৃতি এঁকেছিলেন তিনি।বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে মরিকা পাঁচবার সেরা অভিনেত্রী হিসেবে ডেভিড ডি ডোনাতেলা পুরস্কার, সাতবার ইতালিয়ান গোল্ডেন গ্লোব জেতেন। ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে পেয়েছেন গোল্ডেন লায়ন।

দেশ রূপান্তর

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

3 × 4 =