উরুগুয়ে ২-০ গোলে ঘানাকে পরাজিত করেও বিদায় নিল

শুক্রবার কাতারে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের এইচ গ্রুপের ম্যাচে ফের উরুগুয়ে ২-০ গোলে পরাজিত করে ঘানাকে। কিন্তু গ্রুপের আরেক ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়া ২-১ গোলে পর্তুগালকে হারিয়ে দিলে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয় ঘানা ও উরুগুয়েকে।

এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার জয়ের খবর পাওয়ার পর  নকআউট পর্ব নিশ্চিত করতে প্রাণপন লড়াই শুরু করে উরুগুয়ে। কারণ স্বপ্ন পূরণ থেকে তখন মাত্র এক গোল দূরে অপেক্ষা করছিল দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি। এদিকে তাদের ওই স্বপ্ন ভেঙ্গে দিতে ঘানা দৃঢ়তার সঙ্গে নেমে পড়ে প্রতিরোধ লড়াইয়ে।

দুটি দৃশ্য, অনুভূতি দুই রকম। একটায় তিনি জোহানেসবার্গের আঙিনায় বুনো উল্লাসে মেতে উঠলেন, অন্যটিতে আল জানোব স্টেডিয়ামে জিতেও কাঁদলেন। পাল্টা জবাব যেন এভাবেই ফিরে আসে; হৃদয় বিদীর্ণ করে দিয়ে ফিরে আসে। লুইস সুয়ারেসের বেলায়ও কী তাই হলো?

১২ বছর আগে লুইস সুয়ারেজের ঘটনা থেকেই বৈরি সম্পর্ক বিরাজ করছে দুই দলের মধ্যে। ২০১০ সালের বিশ্বকাপে উরুগুয়ের ফুটবল তারকা লুইস সুয়ারেজ ভেঙ্গে দিয়েছিলেন ঘানাইয়ানদের হৃদয়। কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের শেষ মুহূর্তে তার ইচ্ছাকৃত হ্যান্ডবলে হাতছাড়া হয় ঘানার একটি নিশ্চিত জয়। ঘটনার জেরে সুয়ারেজকে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন আসামোয়া গায়ান। ওই ঘটনায় সাইড লাইন থেকে বুনো উদযাপনে মাততে দেখা যায় সুয়ারেজকে। পরে টাইব্রেকারে ব্লাক স্টার্সদের পরাজিত করে উরুগুয়ে।

ঘানার সেন্টার ব্যাক ড্যানিয়েল অমার্তি বলেছেন, বৃহস্পতিবার নকআউট পর্বে পৌঁছাতে না পারলেও উরুগুয়েকে আটকে দেয়ার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর ছিল তাদের দল।  অমার্তি বলেন,‘ আমি শুধু সতীর্থদের এই কথাটিই বলেছি, এই মুহুর্তে আমাদের যেমন একটি গোলের প্রয়োজন, তেমনি তাদেরও এগিয়ে যাবার জন্য প্রয়োজন আর মাত্র একটি গোল।  সুতরাং আমাদের এমনভাবে খেলতে হবে যাতে আমরা গোল করতে না পারলেও তারা যেন না পারে। আমরা যদি পরের রাউন্ডে যেতে না পারি তাহলে তাদেরও যেতে দেব না।’

উরুগুয়েকে শেষ ষোল থেকে ঠেকিয়ে রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল কিনা প্রশ্ন করা হলে জবাবে ঘানাইয়ান মিডফিল্ডার বলেন, ‘আমার কথা যদি বলি তাহলে বলব অবশ্যই। এটি কঠিন ছিল, কারণ আপনি তাদের সেন্টার ব্যাক দেখেছেন , সবাই এগিয়ে এসেছে। পরের রাউন্ডে যাবার জন্য উরুগুয়ের দরকার ছিল আর মাত্র একটি গোল। আর আপনি দেখেছেন যে আমরা যে কোন ভাবেই হোক নিজেদের প্রতিহত করেছি।’ অবশ্য এটি ২০১০ সালের প্রতিশোধ বলতে রাজি হননি ঘানার ওই মিডফিল্ডার। বলেন, অধিনায়ক আন্দ্রে আইয়ু ছাড়া বিশ্বকাপ দলের আর কেউ বর্তমান স্কোয়াডে নেই।

বাসস

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

12 + three =