বিদ্যুৎ প্রকৌশল খাতে দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি সম্প্রতি নেটকম লার্নিং গ্লোবাল লিমিটেডের সহযোগিতায় ‘ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ শীর্ষক এক সেমিনার আয়োজন করে। সেমিনারে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সম্ভাবনা ও বাস্তব প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যবসার কার্যকারিতা বৃদ্ধি, দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও ব্যবসায়ের দীর্ঘমেয়াদে প্রবৃদ্ধিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সম্পন্ন প্রযুক্তির ব্যবহার তুলে ধরার উদ্দেশ্যে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ের উন্নয়ন ও প্রযুক্তি সমন্বয়-বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ফাহমিদুল আলম অংশগ্রহণকারীদের সামনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) মৌলিক ধারণা ও ব্যবহারিক দিক নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি ভবিষ্যতের পরিবর্তন ও পূর্বাভাস, নতুন সুযোগ এবং বাস্তব ব্যবসায়িক উদাহরণও সবার সামনে উপস্থাপন করেন।
এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী হুমায়ুন রশীদ প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসা পরিবেশে টিকে থাকতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সম্পন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “বিশ্ব এখন বড় পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের জীবনের প্রায় সব ক্ষেত্রে, বিশেষ করে ব্যবসা ক্ষেত্রে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তাই, বর্তমানের দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে এগিয়ে থাকতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর রূপান্তর জরুরি। এনার্জিপ্যাক প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনায় এআই প্রযুক্তি সমন্বিত করতে চায়, যেন অত্যাধুনিক এ প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এনার্জিপ্যাক বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরও অবদান রাখতে পারে।”
অংশগ্রহণকারীরা পরবর্তীতে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণ করেন এবং বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় বিষয় সম্পর্কে জানতে পারেন; পাশাপাশি, নিজেদের প্রতিষ্ঠানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের সম্ভাবনা সম্পর্কেও জানার সুযোগ পান তারা।
নেটকম লার্নিং গ্লোবাল মাইক্রোসফট স্বীকৃত প্রযুক্তি ও ব্যবসা শিক্ষায় দুই দশকের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একটি আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। তারা বিভিন্ন স্বীকৃত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করে। ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের প্রবৃদ্ধিতে নেটকম মাইক্রোসফট, এডব্লিউএস, সিসকো, গুগল ক্লাউড ও এআই সার্টস স্বীকৃত লার্নিং কোর্স পরিচালনা করে।
নেটকমের সহযোগিতায় সেমিনারটি এনার্জিপ্যাকের পেশাজীবীদের আরও আধুনিক জ্ঞান ও দক্ষতায় সমৃদ্ধ করতে ভূমিকা রাখে, যা উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে একটি উন্নত ব্যবসায়িক পরিবেশ গঠনে সহায়তা করবে।