কে জিতবে এশিয়া কাপ  ২০২২?

সালেক সুফী: সংযুক্ত আরব আমিরাতের মরুদ্যানে আজ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৮:০০ টা থেকে এশিয়া কাপ ২০২২ জয়ের জন্য লড়াই শুরু করবে টুর্নামেন্টের দুই সেরা  দল শ্রীলংকা এবং পাকিস্তান।  শ্রীলংকা এর আগে ৫ বার এই শিরোপা জিতেছে, পাকিস্তান জিতেছে ২ বার।

আসন্ন টি২০ বিশ্বকাপ সামনে থাকায় এবারের টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে টি২০ ফরম্যাটে। অভিজ্ঞতা, দুই দলের খেলোয়াড়দের মানের তুলনা আর জনপ্রিয়তা বিচারে পাকিস্তান এগিয়ে আছে সন্দেহ নেই। কিন্তু চলমান টুর্নামেন্টে মোমেন্টাম কিন্তু শ্রীলংকার।  বিশেষ করে প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তান দলের কাছে শোচনীয় হারের পর পিছু ফিরে তাকায়নি ওরা। একে একে  বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, ভারত, পাকিস্তান সবাইকে হার মানিয়েছে বিচক্ষণতার সঙ্গে খেলে।

পাকিস্তান প্রথম খেলায় ভারতের কাছে আর শেষ খেলায় শ্রীলংকার কাছে হেরে গেলেও ভারত আর আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ী হয়ে ফাইনালে উঠে। ভারত সুপার ফোরের দুই খেলায় পাকিস্তান আর শ্রীলংকার সাথে হেরে সুপার ফোর থেকেই ঝরে পড়ে।

ফাইনাল কিন্তু স্নায়ুর খেলা।  খেলা হবে সেয়ানে সেয়ানে।  পাকিস্তান এযাবৎ নিজেদের সেরাটা উপহার দিয়েছে বলা যাবে না। দলের রসায়ন সেভাবে সক্রিয় হয়নি। তুখোড় বাবর আজম এখনো তেতে উঠেইনি। রিজওয়ান কয়েকটা ম্যাচে ভালো খেললেও ওদের এখনো বিধ্বংসী রূপে দেখা যায়নি। ভালো খেলা উপহার দেয়নি এযাবৎ ফাকার জামান।

ইফতিখার, আসিফ আলী, খুশদিল এমন কিছু খেলেনি যে ওদের ম্যাচজয়ী বলা যাবে। তবে তরুণ পেসার নাসিম শাহ নাটকীয়ভাবে একটি ম্যাচ জিতিয়েছে। আজ ফাইনালে বাবার আজম বা ফাকার জামান ম্যাচজয়ী ইনিংস খেললে বিস্মিত হবো না। পাকিস্তান দলের শক্তিমত্তার স্থান তুখোড় বোলিং আক্রমণ। তরুণ নাসিম শাহ, হারিস রউফ, হাসনাইন সবাই দুরন্ত গতিতে বল করে। শাদাব খান আর মোহাম্মদ নেওয়াজ ভালো মানের স্পিনার। দেখতে হবে পাকিস্তান ফিল্ডিং কেমন করে। জনপ্রিয়তার নিরিখে পাকিস্তান কিছুটা এগিয়ে। ওদের দেশে এখন চলছে প্রলয়ংকারী বন্যা। দল জয়ী হলে সেটি দেশবাসীকে উপহার দিবে।

অন্যদিকে পরিণত হতে থাকা শ্রীলংকা টুর্নামেন্টে এযাবৎ রেসের ঘোড়া। প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের সঙ্গে উড়ে যাবার পর দারুনভাবে ফিরে জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে। পিথুন নিশাঙ্কা, দাসুন শানাকা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসাবে ভালো সূচনা দিয়েছে, কুশল মেন্ডিস, ভানুকা রাজাপাকসে মাঝে মাঝে ভালো ব্যাটিং করছে। অল রাউন্ডার হিসাবে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা এবং ধনঞ্জয় ডি সিলভা কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছে। দলে তারকা বোলার না থাকলেও স্পিন আক্রমণ যথেষ্ট সমৃদ্ধ। তরুণ পেস আক্রমণ মন্দ করছে না। ফিল্ডিং তুখোড়।  অধিনায়ক শানাকা বিচক্ষণতার সঙ্গে সীমিত সম্পদ কাজে লাগাচ্ছে। ফাইনালে দলটি ছেড়ে কথা বলবে না।

আমি ফাইনালে তুখোড় প্রতিদ্বন্দ্বিতা আসা করছি। যে দল স্নায়ুর চাপ ধরে রাখবে জয়ী হবে। বাংলাদেশ শুরুতেই ঝরে গেলেও এই ম্যাচে বাংলাদেশের আম্পায়ার মাসুদুল রহমান  মুকুলের মাধ্যমে উপস্থিত থাকবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

16 − six =