সালেক সুফী
প্রতি চার বছর পর পর অনুষ্ঠিত ক্রিকেট বিশ্বকাপের মহাযজ্ঞ এখন ক্রান্তিলগ্নে। ভারতের ৯ শহরে ১০ দলের বিশ্বকাপে প্রতিটি দল ওপর দলের বিরুদ্ধে একবার খেলেছে। ৪৫ ম্যাচ খেলার পর চার দল স্থান করে নিয়েছে সেমি ফাইনাল পর্বে। স্মরণীয় কত স্মৃতি, কত অর্জন। ৯ ম্যাচে ৯ জয় নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে দুইবারের বিশ্বকাপ জয়ী স্বাগতিক ভারত। দুটি করে ম্যাচ হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়া। নেট রান রেট বিবেচনায় দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয়, ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার স্থান তৃতীয়। ৪ ম্যাচ হেরে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর চতুর্থ স্থানে শেষ করেছে নিউ জিল্যান্ড।
১৫ নভেম্বর মুম্বাই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে প্রথম সেমি ফাইনালে খেলবে ভারত দলের বিরুদ্ধে কখনো বিশ্বকাপ না জেতা নিউ জিল্যান্ড। পরদিন কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে লড়াই করবে ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে চোকার খ্যাত দক্ষিণ আফ্রিকা। ক্রিকেট এমন এক গৌরব উজ্জ্বল অনিশ্চয়তার খেলা যেখানে ‘সকালের সূর্য দেখে দিন চেনা’ আপ্তবাক্য অনেক ক্ষেত্রেই ভুল প্রমাণিত হয়।
দেখা যায় সূর্যালোকিত সকাল, রোদেলা দুপুরের পরেও আকাশ কালো করে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামে সন্ধ্যায়। স্বাভাবিক বিশ্লেষণে তুখোড় ফর্মে থাকা স্বাগতিক ভারত এবং বরাবরের ফেভারিট অস্ট্রেলিয়া সেমি ফাইনাল জিতে ১৯ তারিখ আহমেদাবাদ নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ফাইনাল খেলার সম্ভাবনা থাকলেও একেবারে উল্টো দক্ষিণ আফ্রিকা-নিউ জিল্যান্ড ফাইনাল খেলার সম্ভাবনা বাতিল করা যায় না।
কেন স্বাগতিক ভারত এবারের হট ফেভারিট?
১৯৮৩ সালে কিংবদন্তি ভারতীয় চৌকষ খেলোয়াড় কপিল দেবের নেতৃত্বে ভারত দল ক্রিকেট মক্কা লর্ডস ময়দানে অনেকটা অপ্রত্যাশিত ভাবেই সেই সময়ের অপ্রতিদ্বন্দী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জয় করেছিল। এর পর দীর্ঘ দিন কেটে যায়। ২০০৩ বিশ্বকাপে ভারত ফাইনালে উঠেও অস্ট্রেলিয়ার কাছে পৰ্যুদস্ত হয়। অবশেষে দেশের মাটিতে ২০১১ মহেদ্র সিংহ ধোনির নেতৃত্বে ভারত শ্রীলংকাকে পরাজিত করে বিশ্বকাপ জিতে নেয় দ্বিতীয় বারের মতো।
২০১৫, ২০১৯ ভারত শক্তিশালী দল হয়েও কাপ জয় করতে পারেনি। সবাই জানে ভারতে ক্রিকেট দ্বিতীয় ধর্মের মতোই পূজনীয়। আইপিএল ক্রিকেট দুনিয়ায় সবচেয়ে জনপ্রিয় আসর যেখানে খেলে ক্রিকেট বিশ্বের অধিকাংশ নামি দামি এবং উদীয়মান ক্রিকেট প্রতিভা। রঞ্জি ট্রফি, দুলিপ ট্রফি সহ, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেট খেলা হয়।
বিশ্বমানের ক্রিকেট খেলার উপযোগী পরিবেশ, অবকাঠামো আছে ভারতে। দেশের প্রতিথযশা প্রাক্তন ক্রিকেটারদের সন্নিবেশিত করে শক্তিশালী কোচিং ইউনিট আছে ভারতের। সব ফরম্যাটেই আছে শক্তিশালী দল। কিন্তু নানা কারণে ২০১১ পর থেকে কোন ফরম্যাটেই চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফি ছোঁয়ার সুযোগ হয়নি ভারতের। এবারে তাই ভারতের অন্যতম কিংবদন্তি প্রাক্তন ক্রিকেটার রাহুল দ্রাবিড়কে হেড কোচ/ম্যানেজার করে বিশ্বমানের খেলোয়াড় সমৃদ্ধ অপ্রতিদ্বন্দী দল গড়েছে ভারত।
৯ ম্যাচের প্রতিটি অনায়াসে জয় করা ভারত দলকে অনেকেই ১৯৭০ দশকের অপ্রতিদ্বন্দ্বী ওয়েস্ট ইন্ডিজ অথবা ১৯৯০, ২০০০ স্টিভ ওয়াহ, রিকি পন্টিং নেতৃত্বের অপরাজেয় অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে তুলনা করছে। বিশ্বমানের ৫-৬ জন ব্যাটসম্যান, তুখোড় ফর্মে থাকা ৪-৫ জন বোলার, কয়েকজন বিশ্বমানের চৌকষ খেলোয়াড় নিয়ে ভারত এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে শক্তিশালী দল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলী শুধু বর্তমান নয় ভারতের সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যানদের মাঝে অবস্থান করে নিয়েছে। দুজনই আছে মহাছন্দে। সুবমান গিল, কে এল রাহুল, স্রেয়াস আয়ার, সূর্যকুমার যাদব কাকে রেখে কার কথা বলবেন। চার-পাঁচ জন বিশ্বমানের ব্যাটসম্যানদের যে কোনো এক বা দুইজন যেখানে ম্যাচ জয়ী দক্ষতার অধিকারী সেখান ওদের হারিয়ে ম্যাচ জয় অনেক কঠিন হিসাবেই প্রমাণিত।
বোলিংয়েও আছে জাসপ্রিত বুমরা, কুলদীপ যাদবের মতো দুজন ব্যাতিক্রমী প্রতিভা। এবারের বিশ্বকাপে এই দুই এক্স-ফ্যাক্টরের রহস্য ভেদ করতে পারেনি কোন দল। সঙ্গে যোগ করুন মোহাম্মদ সামির মতো সুইং সিম বোলার, সিরাজের মতো বিকশিত প্রতিভা, রবীন্দ্র জাদেজার মতো কালজয়ী স্পিনার। ভারত দল পারে বিশ্বসেরা স্পিন বোলার রবিচন্দ্র অশ্বিনকে রিজার্ভ বেঞ্চে বসিয়ে রাখতে। সব মিলিয়ে দেশের মাটিতে পরিচিত পরিবেশে তৃতীয় বিশ্বকাপ জয়ের জন্য সবচেয়ে প্রস্তুত দল ভারত। কিন্তু শুরুতেই বলেছি ক্রিকেট গৌরবউজ্জ্বল অনিশ্চয়তায় ভরা। এখানে সেরা দল শ্রেষ্ট হবে নিশ্চিত করে বলা যাবে না।
বরাবরের ফেভারিট অস্ট্রেলিয়া জ্বলে উঠেছে সঠিক সময়ে
ক্রিকেটের ব্রাজিল ৫ বারের বিশ্বকাপ জয়ী অস্ট্রেলিয়া এবারের টুর্নামেন্টে প্রথম দুই খেলায় অপ্রত্যাশিতভাবে ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে বর্ণহীন অপরিচিত মনে হচ্ছিল। দেয়ালে পিঠ রেখে এরপরেই ওরা নিজেদের সর্বজয়ী সংহারী মূর্তিতে ফিরে পর পর ৭ ম্যাচ দাপুটে জয় নিয়ে পয়েন্টস তালিকায় তৃতীয় স্থানে। সেমি ফাইনালে ১৫ নভেম্বর খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। অনেকেই বলছেন বর্তমান ফর্মে থাকা বরাবরের ফেভারিট অস্ট্রেলিয়া দল সক্ষম সর্বজয়ী ভারতের জয়রথ স্তব্ধ করতে।
সবাই চেনে সবাই জানে ব্যাট হাতে ডেভিড ওয়ার্নার কতটা বিধ্বংসী, দীর্ঘদিন ভারতে আইপিএল খেলা ওয়ার্নার শুধু ভারতের খেলোয়াড়দের নয় ভারতের প্রতিটি ক্রিকেট ভেন্যু বিষয়ে অত্যন্ত অভিজ্ঞ। বর্ণাঢ্য ক্রিকেট জীবনের শেষ বিশ্বকাপ। ওয়ার্নার চাইবে চ্যাম্পিয়নশিপের রঙে রাঙাতে। মারকুটে ব্যাটসম্যান ট্রাভিস হেড শুরুতে ম্যাচ ফিট ছিল না। বিশেষ লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়া দল ওকে বহন করেছে। প্রথম ম্যাচেই নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে আগুনে ব্যাটিং করে জাত চিনিয়েছে হেড।
শুরুতে ওয়ার্নার-হেড জুটি উড়ন্ত সূচনা করলে অস্ট্রেলিয়া দলকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে যেকোনো দলের জন্য। এর পর ধরুন সপ্রতিভ মিচেল মার্শের কথা। দারুন ছন্দে থাকা মার্শ কি করতে পারে বাংলাদেশ দেখেছে শেষ খেলায়। স্টিভ স্মিথ সমসাময়িক ক্রিকেটে অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। এবারের টুর্নামেন্টে নিজের আকাশ ছোয়া উঁচু মানের ইনিংস খেলেনি এখনো। হয়তো সেরা খেলাটা খেলবে সেমি ফাইনাল বা ফাইনালে।
ধীর স্থির শান্ত মেজাজের মার্নাস লেবুচাঙ মিডল অর্ডারে কতটা কার্যকরী বার বার প্রমাণ দিয়েছে। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল কোন মানের ব্যাটসম্যান রাশিদ খান, নবীকে প্রশ্ন করলে উত্তর মিলবে। বিশ্বকাপ আসরে একমাত্র দ্বিশতক করা ম্যাক্সওয়েল খেলেছে বিশ্বকাপের ইতিহাসের সম্ভবত সেরা ইনিংস। জানিনা পুরোপুরি ফিটনেস ফায়ার পেয়েছে কি না। তবে একপায়ে দাঁড়িয়ে আহত কাঙ্গারুর আগ্রাসন নিয়ে যে ইনিংস খেলেছে ম্যাক্সওয়েল ওকে সামাল দিতে ভারত এবং অন্য প্রতিপক্ষকে বিশেষ পরিকল্পনা করতেই হচ্ছে।
আমি বলবো ব্যাটিংয়ের তুলনায় অস্ট্রেলিয়র বোলিং কিন্তু ম্যান অনুযায়ী হচ্ছে বলা যাবে না। মিচেল স্টার্ক সাফল্য পেলেও পাট কামিন্স এবং জস হেজেলউড কিন্তু খুনে ছন্দে নেই। ভালো করছে আডাম জাম্পা। পঞ্চম বোলার হিসাবে ম্যাক্সওয়েল বা স্ট্যানিস সুবিধা করতে পারছে না। এখানেই অস্ট্রেলিয়ার দুবলতা। কিন্তু সবাই জানে স্টার্ক, কামিন্স, হেজেলউড বড় ম্যাচে জ্বলে ওঠে। তবে অস্ট্রেলিয়া তুখোড় ফিল্ডিং দল। আগ্রাসী ক্রিকেট খেলা অস্ট্রেলিয়া তুখোড় ফিল্ডিং দিয়ে পার্থক্য গড়ে দেয়। আমার বিশ্লেষণে আমি অস্ট্রেলিয়াকে ফাইনালে ভারতের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে দেখছি। সেই ক্ষেত্রে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ফাইনালে।
দক্ষিণ গোলার্ধের প্রান্তিক দেশ নিউ জিল্যান্ড বরাবরের প্রতিদ্বন্দ্বী দল
২০১৫, ২০১৯ ফাইনাল খেলেছে, প্রতিবার নীরবে নিভৃতে ভালো সূচনা করে এগিয়ে যায়। সম্ভাবনা নিয়েও কিন্তু এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপ জয় করা হয়নি কিউই পাখির দেশ ব্লাকক্যাপসদের। মাত্র ৫০ লক্ষ মানুষের দেশ নিউ জিল্যান্ড নিয়মিত বিশ্বমানের অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় উপহার দিয়ে চলেছে। এবারের বিশ্বকাপে শেষবারের মতো দেখা যাবে সমসাময়িক বিশ্বক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান কেন উইলিয়ামসনকে।
টুর্নামেন্টের শুরুতে ম্যাচ ফিট না থাকলেও গুরুত্বের কথা বিবেচনায় রেখে দল ওকে বহন করেছে, যখনি খেলেছে দলের জয়ে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে। নিউ জিল্যান্ড এবারের টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই দারুন খেলে গেলবারের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে দেয়। ইংল্যান্ড কিন্তু সেই আঘাত শেষে টুর্নামেন্টে ফিরে আসতে পারেনি। দলে আছে ইতিমধ্যে বিশ্বক্রিকেটে প্রতিষ্ঠিত ডেভন কোনওয়ে।
ভারতে জন্ম নেওয়া অসামান্য প্রতিভার অধিকারী রাচীন রবীন্দ্র এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা আবিষ্কার। বাবা তার প্রিয় ভারতীয় ক্রিকেট আইডল রাহুল দ্রাবিড় এবং সচিন টেন্ডুলকারের সঙ্গে মিলিয়ে নাম দিয়েছেন রাচিন। যেভাবে খেলেছে রাচিন দেখে নিঃসন্দেহে পুলকিত দ্রাবিড় এবং সচিন। নিউ জিলান্ড সাফল্যের অনেকটাই নির্ভর করবে কোনওয়ে-রাচীনের সূচনার উপর।
এরপর কেন উইলিয়ামসন স্বাভাবিক ছন্দে থাকলে ইনিংস গতি পাবে। মিডল অর্ডারে ড্যারিল মিচেল বেশ কয়েকবার ঝকঝকে ইনিংস খেলেছে। জ্বলে উঠতে পারে লাথাম, ফিপিপ্স। এমনকি প্রয়োজনে চওড়া ব্যাট হাতে খেলতে পারে মিচেল সান্টনার। অনেকটা নীরবে নিঃশব্দেই নিজেদের কাজটি করে যায় ব্লাকক্যাপ্সরা। ট্রেন্ট বোল্ট, লকি ফার্গুসন, টিম সউদী উইকেটে পেস, বাউন্স বা ল্যাটারাল মুভমেন্ট থাকলে সুবিধা আদায় করে নিবে অনায়াসে।
বাম হাতি স্পিনার মিচেল সান্টনার এবারের টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা স্পিনার। নিউ জিল্যান্ড দলকে নিরীহ গোছের মনে হলেও ওদের বিরুদ্ধে অনায়াসে জয় পাওয়া যাবে মনে করা হলে ভুল হবে। তবে ভারতকে হারিয়ে ফাইনাল খেলতে হলে ওদের কিছুটা আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে হবে। চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে হবে।
দক্ষিণ আফ্রিকা এবারে ভিন্ন মূর্তিতে আবির্ভুত
বরাবরের চোকার খ্যাত দক্ষিণ আফ্রিকা এবারের বিশ্বকাপে শুরু থেকেই আগ্রাসী ক্রিকেট খেলেছে। ৫-৬ জন বিশ্বমানের মারকুটে ব্যাটসম্যান দারুন ছন্দে থাকায় টুর্নামেন্টে ৪০০+ এবং ৩৫০+ বেশ কয়েকটি দলীয় সংগ্রহ অর্জন করে প্রতিপক্ষদের উড়িয়ে দিয়েছে। প্রথমে ব্যাট করে যেমন রানের পাহাড় গড়েছে রান তাড়া করায় কেন যেন মুষড়ে পড়েছে ওরা। ৯ ম্যাচে ৭ জয় নিয়ে ওরা পয়েন্টস তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে।
সেমি ফাইনাল খেলতে হবে কলকাতা ইডেন গার্ডেনে অন্যতম টুর্নামেন্ট ফেভারিট অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। শেষবারের মত বিশ্বকাপ খেলা কুইন্টন ডি কক আছে খুনে ছন্দে। নিরীহ চেহারার ডি কক ধীর স্থির ভাবে সূচনা করে তুলোধুনো করেছে প্রতিপক্ষ বোলারসদের। সঙ্গী হিসাবে বাভুমা খুব একটা সাফল্য না পেলেও রাসি ভ্যান দার ডুসেন, আড্রিয়ান মার্কারম, হেনরিক ক্লাসেন, ডেভিড মিলার সমন্বয়ে গড়া প্রোটিয়া ব্যাটিং এবারের বিশ্বকাপে ভীতিপ্রদ ব্যাটিং করছে।
বিস্ময় লাগে কিভাবে দলটি নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে রান তাড়া করতে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। ভারত না হয় পরিকল্পনা করে ওদের ফাঁদে ফেলেছিলো। যাহোক সেই প্রসঙ্গ অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকার সেমি ফাইনাল কিন্তু শেয়ানে শেয়ানে লড়াই হবে। রাবাদা, এনজিডি, জেনসেন, কেশব মহারাজকে ভালো বোলিং করতে হবে। যদি দক্ষিণ আফ্রিকা জয়ী হয় তাহলে ওদের পক্ষে ফাইনালে বাজি রাখবে অনেকেই।
স্বাভাবিক বিশ্লেষণে ভারত-অস্ট্রেলিয়া ফাইনাল দেখছেন অনেকেই। কিন্তু দুই দলকে ছাপিয়ে নিউ জিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকার অন্তত একটি দল ফাইনালে এসে বিশ্বকাপ জয়ী হলেও বিস্ময়ের কিছু নেই।
সালেক সুফী: আন্তর্জাতিক ক্রীড়া বিশ্লেষক