আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের ‘রেহানা মরিয়ম নূর’র পর এবার অস্কারের মনোনয়নের টিকিট মিললো বাংলাদেশের আরেক চলচ্চিত্র ‘গোর’-এর। নাট্যজন গাজী রাকায়েত নির্মিত বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য ইংরেজি ছবি এটি। এর মূল চরিত্রে আছেন তিনিই।
আজমেরী হক বাঁধন অভিনীত ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ এবারের আসরে বেস্ট ইন্টারন্যাশনাল ফিচার ফিল্ম (বিদেশি ভাষার প্রতিযোগিতা) বিভাগে বাংলাদেশের ছবি হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করলেও ‘গোর’ যাচ্ছে সাধারণ ক্যাটাগরিতে।
প্রতি বছরের মতো এবারও ৯৪তম অস্কার আসরের জন্য বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজের উদ্যোগে গঠিত চলচ্চিত্র বাছাই কমিটি ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ পাঠিয়েছে।
অপরদিকে, সম্প্রতি জানা গেল একই আসরের সাধারণ বিভাগে প্রতিযোগিতার জন্য অংশ নিচ্ছে ‘গোর’-ও! সরকারি অনুদানের এই ছবিটি পরিচালনার পাশাপাশি এর কাহিনি, সংলাপ ও চিত্রনাট্য করেছেন নির্মাতা নিজেই। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশে মুক্তি পেয়েছিল ‘গোর’। যার ইংরেজি নাম ‘দ্য গ্রেভ’। আন্তর্জাতিকভাবেও ছবিটি মুক্তি দেওয়ার জন্য এটি দুই ভাষায় নির্মাণ করা হয়। যা ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দুটো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে মুক্তিও পেয়েছে।
এবারই প্রথম বাংলাদেশ থেকে দুটি ছবি অস্কারে যাওয়া প্রসঙ্গে গাজী রাকায়েত বলেন, ‘‘এটা বাংলাদেশের জন্য খুবই ভালো খবর। তবে আমরা এখনও অস্কারে পৌঁছাতে পারিনি। আমাদের ছবিগুলো মাত্র জমা দেওয়া হয়েছে। তারা শর্টলিস্ট করবে। তখনই আমরা অস্কারের মূল পর্বে যেতে পারবো। এটা ‘রেহানা মরিয়ম নূর’র জন্য যেমন সত্য আমার জন্যও। তবে এটা ঠিক, যদি চূড়ান্ত হয় ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ একটি বিভাগে লড়বে। আর ‘গোর’ অস্কারের চলচ্চিত্র, অভিনেতা, স্ক্রিনপ্লেসহ অন্য সব বিভাগে লড়ার সুযোগ পাবে।’’
‘গোর’ অস্কারে যাওয়া প্রসঙ্গে এই নির্মাতা-অভিনেতা আরও বলেন, ‘সাধারণ বিভাগে ছবি জমা দিতে হলিউডের নির্দিষ্ট কিছু প্রেক্ষাগৃহে ছবি মুক্তি দিতে হয়। আমরা কিন্তু সেই পরিকল্পনা থেকেই আমেরিকার হলে মুক্তি দিয়েছিলাম। ছবিটির ২১টি প্রদর্শনী হয়েছিল। এ কারণে এটা আমেরিকার অন্য ছবির মতোই সাধারণ বিভাগে যাচ্ছে।’
এদিকে, ২০০৩ সাল থেকে বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অস্কারের বিদেশি ভাষার ছবির জন্য বাংলাদেশের ছবি অফিশিয়ালি পাঠিয়ে আসছে। শুরুটা হয় তারেক মাসুদের ‘মাটির ময়না’ দিয়ে।
সেই ধারাবাহিকতায় গত অক্টোবরে বাংলাদেশ থেকে সর্বশেষ ছবি ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ পাঠায় সংগঠনটি।
৯৪তম অস্কার বাংলাদেশ কমিটির সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ আল মারুফ জানান, ‘মাটির ময়না’ দিয়ে অস্কারে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র পাঠানো শুরু হয়েছিল। বিগত আর কোনও বছর বাংলাদেশ থেকে একসঙ্গে দুটি ছবি অস্কারে যায়নি। যে কারণে এবার বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষ খবর বয়ে আনতে পারে চলচ্চিত্র দুটি।
বাংলা ট্রিবিউন