গানের সরস্বতীকে রুনা লায়লার আবেগঘন শুভেচ্ছা

সবার কাছে তিনি গানের সরস্বতী দেবী। স্বর্গীয় সুরেলা কণ্ঠে হাজার হাজার গান উপহার দিয়েছেন, সেসব গান চর্চা করে খ্যাতি পেয়েছেন পরবর্তী কয়েক প্রজন্মের শিল্পীরা। তিনি লতা মঙ্গেশকর। উপমহাদেশের সবচেয়ে সফল ও নন্দিত নারী কণ্ঠশিল্পী।

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) তার জন্মদিন। এটাই প্রথম জন্মদিন, যেদিন তিনি বেঁচে নেই। চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি না ফেরার দেশে উড়াল দিয়েছিলেন কিংবদন্তি এই গায়িকা। সশরীরে তিনি না থাকলেও সুরে-গানে মিশে আছেন সবার হৃদয়ে।

লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক ছিলো বাংলাদেশের কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লার। তারা বিভিন্ন সময়ে আড্ডা দিয়েছেন, গল্প করেছেন। আর মুঠোফোন ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে যুক্ত থেকেছেন নিয়মিত। তাই লতাহীন লতার জন্মদিনে একটু বেশিই আবেগপ্রবণ রুনা লায়লা।

লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে তোলা কয়েকটি ছবি শেয়ার করেছেন রুনা লায়লা। সঙ্গে লিখেছেন, “সরস্বতী মায়ের প্রথম জন্মবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা। আপনি ছাড়া পৃথিবী এবং গানের জগত আর আগের মতো নেই। আমাদের প্রতিদিনের ‘শুভ সকাল’ বার্তা, ভিডিও দেওয়া-নেওয়া, কৌতুক, গান, যেকোনও বিষয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলা; সবকিছু খুব মনে পড়ে। আমি সেই সবকিছু মিস করি। আপনার বিশুদ্ধ আত্মা চিরশান্তিতে থাকুক। আমাকে এবং পুরো পৃথিবীকে যে আনন্দ আপনি দিয়েছেন, তার জন্য ধন্যবাদ।”

জানা যায়, ১৯৭৪ সালে প্রথমবার লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে দেখা হয় রুনা লায়লার। সে বছর গানের অনুষ্ঠানের জন্য ভারতে গিয়েছিলেন রুনা। আয়োজকদের কাছে জানান, লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে। সেই ইচ্ছে পূরণ হতে বেশি সময় লাগেনি। ক’দিন পরই মুম্বাইয়ে যখন সংগীত মহড়ায় ব্যস্ত রুনা, তখন তার সঙ্গে দেখা করার জন্য ফুল নিয়ে হাজির হন লতা মঙ্গেশকর! স্বপ্নের মতো সেই স্মৃতি এখনও ‘মাস্ত কালান্দার’ খ্যাত গায়িকার চোখে জ্বলজ্বল করে।

পরবর্তীতে দু’জনের মধ্যে দারুণ সখ্য গড়ে ওঠে। একে-অপরের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতেন, উপহার পাঠাতেন। নিয়মিত ফোনে কথা বলতেন, চ্যাটিং করতেন। বিভিন্ন আনন্দ-দুঃখ, অনুভূতি বিনিময় করতেন। কিন্তু গানের সরস্বতীর প্রয়াণে সেই মধুর সম্পর্কের আক্ষরিক ইতি ঘটেছে।

বাংলা ট্রিবিউন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

two × four =