গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় হাসপাতালে ভর্তি

গুরুতর অসুস্থ সঙ্গীতশিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে ভর্তি করানো হল এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে। বৃহস্পতিবার শিল্পীর স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় তার কন্যার সঙ্গে কথা বলে ওই সিদ্ধান নেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর নবতিপর শিল্পীর শরীরের বিভিন্ন রকম প্রাথমিক পরীক্ষা করা হবে। হাসপাতালের তরফে চিকিৎসার সমস্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, অসুস্থ শিল্পীকে দেখতে হাসপাতালে দেখতে যেতে পারেন মমতা নিজে।

বৃহস্পতিবার এসএসকেএম চত্বরে শিল্পীর জামাতা জানান, সন্ধ্যার ফুসফুসে সংক্রমণ রয়েছে। শ্বাসকষ্ট রয়েছে এবং সামান্য জ্বরও রয়েছে। বুধবার রাত থেকেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন তাঁদের পারিবারিক চিকিৎসক হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন। সেই মতোই রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে শিল্পীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। শিল্পীর কোভিড হয়েছে কি না, তা দেখার জন্য তার আরটিপিসিআর পরীক্ষাও করানো হয়েছে। তবে তার রিপোর্ট এখনও আসেনি।সন্ধ্যার চিকিৎসায় ইতিমধ্যেই দ্রুত মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করেছে সরকার। বোর্ডের সদদস্যরা তাকে পরীক্ষা করতে শুরু করেছেন। তবে শিল্পীর জ্ঞান রয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় প্রবীণ গায়িকার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। সে সময় শিল্পীকে কিছুটা মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত বলে মনে হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর। সূত্রের খবর, এর পর শিল্পীর কন্যা সৌমী সেনগুপ্তকে ফোন করে সন্ধ্যার খবরাখবর নেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশিই জানিয়ে দেন, তার চিকিৎসাসংক্রান্ত যে কোনও প্রয়োজনে রাজ্য সরকার সাহায্য করবে। তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন সন্ধ্যা।কালক্ষেপ না করে তাকে এসএসকেএমে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এসএসকেএম থেকেই লেক গার্ডেন্সে সন্ধ্যার বাড়িতে পাঠানো হয় ‘ট্রমা কেয়ার অ্যাম্বুল্যান্স’। রাস্তায় ‘গ্রিন করিডর’ তৈরি করে সেই অ্যাম্বুল্যান্সে করেই স্টেচারবাহিত অবস্থায় তাকে নিয়ে আসা হয় এসএসকেএম। তার সঙ্গেই আসেন সন্ধ্যার কন্যা-জামাতা।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের খেতাব ‘পদ্মশ্রী’ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ‘গীতশ্রী’ সন্ধ্যা। তখন থেকেই তিনি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন বলে তার ঘনিষ্ঠ সূত্রের বক্তব্য। বুধবার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। পারিবারিক সূত্রের খবর, তিনি বাড়িতে একবার পড়েও গিয়েছিলেন।

আনন্দবাজার

 

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

1 + eleven =