চারু মজুমদারকে নিয়ে জয়া-নওয়াজুদ্দিন ওয়েব সিরিজ নিয়ে বিতর্ক

ওয়েব সিরিজে ইতিহাস বিকৃতি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ এনেছেন চারু মজুমদার-পুত্র অভিজিৎ। এর প্রধান দুই চরিত্র একদিকে চারু মজুমদার, অন্যদিকে পুলিশ কর্তা রুনু গুহ নিয়োগী। বিতর্কিত রুনু গুহ নিয়োগীর লেখা ‘‌সাদা আমি কালো আমি’‌ অবলম্বনেই তৈরি হচ্ছে এই ওয়েব সিরিজ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আজকালকে অভিজিৎ বলেন, ‘‌‘সাদা আমি কালো আমি’ একটি বিকৃত বই। এখানে রুনু গুহ নিয়োগী কীভাবে বীরত্বের সঙ্গে চারু বাবুকে গ্রেফতার করেছিলেন এবং জেলের মধ্যে তার সমস্ত ওষুধ বন্ধ করে কার্যত ঠাণ্ডা মাথায় তাকে খুন করেন- সে কথা লিখেছিলেন। শুধু বাংলাতেই ১০০–র বেশি বই আছে। সেগুলো ছেড়ে একজন বাঙালি পরিচালক অথচ নকশাল বাড়ি নিয়ে একটি অত্যন্ত অখাদ্য, সাহিত্যগুণ বর্জিত মিথ্যা লেখাকে ভিত্তি করে ওয়েব সিরিজ বানাচ্ছেন। আমার সঙ্গে ওই পরিচালক কোনও যোগাযোগও করেননি।’’

তিনি আরও বলেন, ‘রুনু গুহ নিয়োগীর বইয়ে আমার মায়ের কোনও প্রসঙ্গ নেই। এখানে একজন নামজাদা অভিনেত্রীকে (জয়া) আমার মায়ের চরিত্রে পুরোটাই কল্পনা করা হয়েছে।’‌

বিতর্কিত পুলিশ কর্তার এই বই প্রকাশের পরেও বেশ বিতর্ক হয়েছিল। পরে সমাজকর্মীদের উদ্যোগে এই বইয়ের পাল্টা ‘‌সাদা রুনু, কালো রুনু’‌ নামের একটি বই প্রকাশ করা হয়। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক আলোচনাও শুরু হয়েছে।

চারু মজুমদারের দল সিপিআইএমএলের পক্ষ থেকে বাসুদেব বসু  বলেছেন, ‘‌রুনু গুহ নিয়োগী এক নারকীয় অত্যাচারের প্রতিভূ ছিলেন। সিনেমা বানানোর গণতান্ত্রিক অধিকার সবার আছে। কিন্তু রুনুর লেখার ওপর সিনেমা বানানো বর্তমান পরিস্থিতিতে এক বিকৃত তথ্যের উপহার। তিনি লালবাজার লকআপে যে কায়দায় সমস্ত ওষুধ বন্ধ করে ঠাণ্ডা মাথায় চারু মজুমদারকে হত্যা করেছে, তা বিরল।’

নকশাল বাড়ি। ষাটের দশকের এই সশস্ত্র আন্দোলন অবিভক্ত ভারতীয় বাঙালির কাছে এক অন্যরকম আবেগের ঘটনা। কদিন আগে সেটিই পর্দায় তুলে ধরার ঘোষণা দিয়েছেন পরিচালক সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়।যেখানে কেন্দ্রীয় চরিত্রে দেখা যাবে বাংলাদেশের জয়া আহসান ও বলিউডের নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকিকে । নকশাল নেতা চারু মজুমদার ও তার স্ত্রী লীলা মজুমদারের ভূমিকায় অভিনয় করছেন তারা।

বাংলা ট্রিবিউন

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

11 − six =