চিত্রনায়িকা রোজিনার জন্মদিন আজ

চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রোজিনার জন্মদিন ২০ এপ্রিল রাজবাড়ী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকাই চলচ্চিত্রের সোনালী সময়ে যে ক’জন নায়িকা শীর্ষ স্থানে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন তাদের একজন রোজিনা। তার অভিনীত প্রায় তিনশ ছবির মধ্যে রয়েছে অনেক বাণিজ্য সফল ছবি, আবার নান্দনিকতায় বেশ কিছু চলচ্চিত্র পেয়েছে ঋদ্ধজনের প্রশংসা।  পাশাপাশি তিনি একজন প্রযোজক এবং নাট্য নির্মাতা। তার পরিচালিত বেশির ভাগ নাটক এবং টেলিফিল্ম সাহিত্য নির্ভর। এ ক্ষেত্রেও তিনি হয়েছেন প্রশংসিত।

চলচ্চিত্রে আসার আগে তিনি ঢাকায় মঞ্চ নাটক করতেন। তখন তিনি বেশ কিছু বিজ্ঞাপনে কাজ করে চলচ্চিত্র জগতে আসেন। রোজিনা মায়া বড়ির বিজ্ঞাপনের কাজ করার পর বড়পর্দায় ১৯৭৬ সালে ‘জানোয়ার’ চলচ্চিত্রে পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে অভিনয়ের সুযোগ পান।

পরে তিনি এফ. কবীর পরিচালিত ‘রাজমহল’ সিনেমার মাধ্যমে একক নায়িকা হিসেবে কাজের সুযোগ পান। এই ছবিটি সফল হয় এবং তিনি হাতে বেশ কিছু ছবি পান। রোজিনার বেশির ভাগ ছবিই পোষাকী। সুঅভিনয় ও গ্ল্যামার দিয়ে তিনি প্রথম শ্রেণীর নায়িকা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।

১৯৮০ সালে রোজিনা ‘কসাই’ ছবির জন্য জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮৮ সালে তিনি জাতীয় পুরস্কার পান শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর হিসেবে ‘জীবন ধারা’ ছবির জন্য। শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে তিনি বাচসাস পুরষ্কারও লাভ করেন।

জানোয়ার, মাটির মানুষ, অভিযান, শীর্ষনাগ, চম্পা চামেলী, রাজনন্দিনী, রাজকন্যা, শাহী দরবার, আলীবাবা সিন্দবাদ, সুলতানা ডাকু, যুবরাজ, কসাই, জীবনধারা, অন্যায় অবিচার, রঙিন রূপবান, দোলনা, সাত ভাই চম্পাসহ বহু ব্যবসাসফল ছবিতে অভিনয় করেছেন রোজিনা

সম্প্রতি চলচ্চিত্র পরিচালনা করছেন তিনি। প্রায় শেষ হয়েছে তার ‘ফিরে দেখা’ ছবির শুটিং। মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজবাড়ী এলাকার একটি ঘটনাকে অবলম্বন করে রোজিনা নিজেই লিখেছেন এর কাহিনী। হয়েছেন চলচ্চিত্র অনুদান কমিটির মেম্বার। সম্প্রতি বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডেরও মেম্বার হয়েছেন তিনি।

যে বিষয়টি গত কয়েকদিন আগে থেকে রোজিনাকে আলোচনায় নিয়ে এসেছে, তা হলো মায়ের উত্তরাধিকার সূত্রে গোয়ালন্দ এলাকায় পাওয়া একখন্ড জমিতে তিনি মিশরীয় স্থাপত্যকলায় একটি মসজিদ নির্মাণ করে, তা ওয়াকফ করে দিয়েছেন।

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

seventeen + 13 =