চীনা নভোচারী ‘সফল’ মিশন শেষে পৃথিবীতে ফিরেছেন

চীনের তিন নভোচারী দেশটির মহাকাশ স্টেশনে পাঁচ মাস কক্ষপথে থাকার পর মঙ্গলবার নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ কথা জানিয়েছে।

রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী সিসিটিভি জানায়, জিং হাইপেং, ঝু ইয়াংঝু এবং গুই হাইচাও (স্থানীয় সময়) সকাল ৮টা ১১ মিনিটে চীনের ডংফেং ল্যান্ডিং সাইটে অবতরণ করেছেন।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, তাদের রিটার্ণ ক্যাপসুল প্যারাশুটে করে অনুর্বর গোবি মরুভূমিতে নেমেছে। ক্যাপসুল মাটিতে অবতরণ করার সাথে সাথে কমলা রঙের ধুলোর মেঘকে ধাক্কা মারছে।

সিসিটিভি বলেছে, ‘অবতরণ স্থানের কাছাকাছি চিকিৎসা কেন্দ্রের তত্ত্বাবধান এবং বীমা কর্মীরা নিশ্চিত করেছেন যে, তিন নভোচারীই সুস্থ আছেন।’

‘শেনঝো-১৬ ক্রুড ফ্লাইট মিশনটি সম্পূর্ণ সফল হয়েছে।’

জিং, ঝু এবং গুই মে মাসের শেষের দিকে চীনের তিয়ান গং মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছেন এবং ১৫৪ দিন কক্ষপথে ছিলেন।

তারা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সময় কাটিয়েছেন এবং প্রায় আট ঘণ্টার স্পেসওয়াক করেছেন।

দেশটির উত্তর-পশ্চিমে জিউকুয়ান লঞ্চ সাইট থেকে শেনঝো-১৭ মিশন গত সপ্তাহে উৎক্ষেপণের পর নতুন করে তিন নভোচারীকে মহাকাশ স্টেশনে পাঠিয়েছে।

দেশটির ম্যানড স্পেস এজেন্সি জানায়, ট্যাং হংবো, ট্যাং শেংজি এবং জিয়াং জিনলিন ‘মহাকাশ বিজ্ঞান এবং অ্যাপ্লিকেশন পেলোড পরীক্ষা’ করবেন।

তারা মহাকাশের ধ্বংসাবশেষ থেকে স্টেশনের সামান্য ক্ষতি ঠিক করার জন্য রক্ষণাবেক্ষণের কাজও পরিচালনা করবেন।

এক দশক আগে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে বেইজিং একটি বড় মহাকাশ শক্তি হওয়ার পরিকল্পনা ত্বরান্বিত করেছে।

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীন মহাকাশ কর্মসূচিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার সাথে মিলিত হওয়ার জন্য সামরিক-চালিত মহাকাশ কর্মসূচিতে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।

চীন ২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে একটি ক্রু মিশন পাঠানোর এবং অবশেষে চন্দ্র পৃষ্ঠে একটি ঘাঁটি তৈরি করার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

বাসস

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

sixteen + 1 =