প্রোটিয়াদের রান বন্যায় ভাসিয়ে ভারতের মুখোমুখি ব্লাকক্যাপ্স

গ্লোবাল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের প্রাথমিক স্তরে অপ্রতিরোদ্ধ থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা থেমে যায় নক আউট রাউন্ডে। চিরায়ত বাস্তবতার কারণে দক্ষিণ আফ্রিকাকে “চোকার ” দেয়া হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ ক্ষেত্রেও ব্যাতিক্রম হলো না।  কাল সেমি ফাইনালে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের ব্যাটিং স্বর্গ উইকেটে প্রথম ব্যাটিং করে নিউ জিল্যান্ড তুখোড় ব্যাটিং করে ৬ উইকেট হারিয়ে করেছিল পাহাড়সম ৩৬২ রান। বিশাল এই স্কোর তাড়া করে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩১২ রান করা সম্ভব হয়। ফলশ্রুতি ৫০ রানের বিশাল ব্যাবধানে পরাজয়। বিজয়ী নিউ জিল্যান্ড জয়ী হয়ে ৭ মার্চ ফাইনালে মুখোমুখি হবে অপর সেমি ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারানো ভারতের।  নিজেদের গ্রূপের খেলায় ইতিপূর্বে নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়ে মানসিকভাবে এগিয়ে আছে ভারত।

কাল টসে জিতে প্রথম ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের উইকেট রান প্রসবা, আউটফিল্ড ফাস্ট।  প্রথম উইকেট জুটিতে উইল ইয়ং এবং রাচীন রাভিন্দ্রা দ্রুত ৪৮ রান তুলে নেয়ার পর দ্বিতীয় উইকেটে রাভিন্দ্রা এবং কানে উইলিয়ামস ১৬৪ রান যোগ করে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়।  রাভিন্দ্রা ১০১ বলে ১০৮ এবং উইল্লিয়ামসন ৯৪ বলে ১০২ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে কোনঠাসা করে ফেলে। শেষ দিকে ড্যারিল মিটছে ৪৯ এবং গ্লেন ফিলিপ্স দ্রুত ৪৯ রান করলে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ৩৬২ রান পাহাড় চূড়ায় পৌঁছায়।

বিশাল এই রান তাড়া করে ম্যাচ জয় করার জন্য প্রয়োজন ছিল প্রথম পাওয়ার প্লেতে উইকেট না হারিয়ে দ্রুত রান তোলা। এই টুর্নামেন্টে দারুন ফর্মে থাকা রায়ান রিকেলটনকে হারিয়ে থমকে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে টেম্বা বাভুমা ( ৫৬) এবং রাসি ভান্ডার ডু সেন (৬৯) ১০৫ রান যোগ করে স্বস্তির সৃষ্টি করে। কিন্তু এর পর ব্ল্যাক কাপ্স স্পিনার্স সান্টনার, রাভিন্দ্রা এবং ব্রেসওয়েল ভালো বোলিং করে চেপে ধরে। টেম্বা বাভুমা এবং ভান্ডার ডুসেন দ্রুত ফিরে যাবার পর একমাত্র ডেভিড মিলার (১০০*) ছাড়া আর কেউ কাঙ্খিত হরে রান তুলতে পারে নি। বিশেষত হেনরিক ক্লাসেন এবং মার্ক হ্যানসেন বার্থ হওয়ায় মিলারের পক্ষে সম্ভব হয়নি দুর্গম গিরি কান্তার মরু পেরিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে কাঙ্খিত বন্দরে ভেড়ানো। ৫০ ওভার শেষে স্কোর দাঁড়ায় ৩১২/৯। ব্যাবধান ৫০ রানের। টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেলা দক্ষিণ আফ্রিকা আবারো হেরে গেলো।  চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম আয়োজনে চ্যাম্পিয়ন দল আরো একটি ফাইনাল খেলতে বার্থ হলো।

ভারত-নিউজিলান্ড ইতিমধ্যে একবার এই টুর্নামেন্টে খেলেছে। সেই খেলার ভুল ত্রুটি থেকে শিক্ষা নিয়ে নিউজিল্যান্ড ঘুরে দাঁড়ালে ভারতের ট্রফি জয় অনায়াস লব্ধ হবে বলে মপ্নে হয় না। ব্ল্যাক ক্যাপসরা কিভাবে ভারতের চতুর্মুখি স্পিন মোকাবেলা করে সেটি দেখবে ক্রিকেট বিশ্ব।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

13 + fifteen =