জওয়ানের অভিনেত্রী সঞ্জীতা জানালেন, ময়মনসিংহের সঙ্গে তাঁর নাড়ির যোগ

যুক্তরাষ্ট্রের বার্কলি কলেজ অব মিউজিক-এ গান নিয়ে পড়েছেন সঞ্জীতা ভট্টাচার্য। এরপর আসেন অভিনয়ে, ‘ফিলস লাইক ইশক’ ও ‘দ্য ব্রোকেন নিউজ’-এর ছোট কিছু চরিত্রের পর এ বার বড় পর্দায় পা রাখছেন সঞ্জীতা। বড় পর্দায় তাঁর আত্মপ্রকাশও হচ্ছে বেশ বড়সড় ভাবেই। শাহরুখ খানের ‘জওয়ান’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হতে চলেছে তাঁর।

শাহরুখের সঙ্গে পর্দায় কাজ করা নিয়ে বেশ উচ্ছ্বাসিত গায়িকা ও অভিনেত্রী সঞ্জীতা ভট্টাচার্য। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, ‘জওয়ান’ সিনেমায় কাজের অভিজ্ঞতা ও নিজের ব্যক্তিজীবন নিয়ে কথা বলেছেন সঞ্জীতা সেখানে তিনি জানিয়েছেন জন্মসূত্রে তাঁর বেড়ে ওঠা দিল্লিতে। তবে তাঁর বাবা কলকাতার এবং মা ময়মনসিংহের। এ ছাড়াও তিনি জানিয়েছেন প্রবাসে থাকলেও বাংলা ভাষার চর্চা তিনি পরিবার থেকে ছোট থেকেই পেয়েছেন।

এ বিষয়ে সঞ্জীতা বলেন, ‘আমার বেশ কিছু বন্ধু আছে যারা বাঙালি কিন্তু এক ফোঁটা বাংলা বলতে পারে না। আমি আসলে প্রবাসী বাঙালি ঠিকই। তবে আমার বাবা কলকাতার, আর মা ময়মনসিংহের। তাই বাঙাল-ঘটি মিলিয়ে বাংলার চলটাই আমাদের বাড়িতে বেশি।’

শাহরুখের হাত ধরে বড় পর্দায় অভিষেক হচ্ছে সঞ্জীতা। সেটা ভেবে কেমন লাগছে? এমন প্রশ্নে উচ্ছ্বাসিত সঞ্জীতা বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমার এখনো পুরো বিষয়টা বিশ্বাসই হচ্ছে না। প্রায় দু’বছর ধরে আমরা কাজ করছি ‘জওয়ান’-এ। আর কিছুদিন পরেই সিনেমাটি মুক্তিও পাবে। এ বার আস্তে আস্তে বুঝতে পারছি এই উত্তেজনাটা। আমার মনে হয়, সিনেমাটি মুক্তির পর নিজেকে যখন বড় পর্দায় দেখব তখন উপলব্ধি করতে পারব যে, স্বপ্ন সত্যি হয়েছে।’

শাহরুখ-নয়নতারাকে নিয়ে সঞ্জীতার ভাষ্য, ‘আমি ভীষণই ভাগ্যবতী! শাহরুখ স্যার তো অসামান্য। উনি সেটে থাকা মানেই আমরা সবাই বাড়তি এনার্জি পেয়ে যেতাম। তবে নয়নতারাও অসাধারণ। এত বড় তারকা, অথচ তাঁর থেকে নম্রতা শিখেছি। প্রতিদিন নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করা, প্রতিদিন নিজের কাজের জন্য কোনও রকম অভিযোগ না করে পরিশ্রম করা-এই শিক্ষাগুলোই ‘জওয়ান’-এর সেট থেকে আমার সব থেকে বড় পাওনা। দীপিকার সঙ্গে আমার কোনো দৃশ্য নেই। তবে নয়নতারার সঙ্গে অভিনয় করতে পেরেছি, এটা আমার জীবনের অন্যতম বড় পাওনা।’

শাহরুখ খানের ‘জওয়ান’ সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ প্রসঙ্গে সঞ্জীতা বলেন, ‘২০২১ সালের জুলাইতে নেটফ্লিক্সে আমার প্রথম সিরিজ ‘ফিলস লাইক ইশক’ মুক্তি পেয়েছিল। তার এক মাস পরেই অর্থাৎ আগস্টে ‘জওয়ান’ ছবিটিতে অভিনয়ের জন্য ফোন পাই। করোনা মহামারির সময়েই। আমি জানি না তারা কীভাবে আমাকে খুঁজে পেয়েছিলেন। সিরিজটি থেকেই বোধ হয়, কারণ তারপরেই আমার কাছে ফোন আসে। তবে আমাকে অডিশন দিতে হয়েছিল।’

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

three + thirteen =