জনপ্রিয় পপ সঙ্গীতশিল্পী হাসানের জন্মদিন আজ

জনপ্রিয় পপ সঙ্গীতশিল্পী হাসানের জন্মদিন আজ। ১৯ এপ্রিল তিনি জন্মেছিলেন। তাঁর পুরো নাম সৈয়দ হাসানুর রহমান। তিনি গায়ক হাসান হিসাবেই পরিচিত। তিনি নব্বই দশকে তরুণদের এক রকম আইকনে পরিণত হন। দু্‌ইশ’র বেশি ব্যান্ড গান গেয়েছেন তিনি। ১৯৯৩ সালে তিনি ব্যান্ডদল আর্কের ভোকালিস্ট হিসাবে যোগ দেন। এরপর তিনি ও তার ব্যান্ড জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

২০০২ সালে আর্ক ব্যান্ড ছেড়ে দিয়ে তিনি ‘স্বাধীনতা’ নামে নতুন ব্যান্ড গঠন করেন। ২০০৪ সালে ‘জন্মভূমি’ নামের আরেকটি ব্যান্ড দলও গঠন করেন তিনি। ২০১০ সালের শেষের দিকে আবারও আর্কে যোগ দেন হাসান।

হাসান ছোটবেলা থেকেই হামদ, নাত ও কবিতা আবৃত্তি করতেন। কবি হিসেবেও পরিচিত মহলে খ্যাত ছিলেন। করতেন অভিনয়ও। বড় বোন হুসনা আফরোজ রেডিও ও টিভিতে নাটক করতেন। তার সঙ্গে যেতেন শুটিংয়ে। সেখান থেকে ঝুঁকে পড়েন সংস্কৃতির অঙ্গনে।

নব্বই দশকের গোড়ার দিকে তিনি ইংরেজি গানের দিকে ঝুঁকে পড়েন। নিজেদের বাড়িতে গান শোনা বা গাওয়ার সুযোগ ছিলো না। তাই বন্ধুদের বাসায় গিয়ে গান শুনতেন। প্রথম দিকে শুনতেন মাইকেল জ্যাকসন, জর্জ মাইকেল, স্কোরপিওন, মেইডেন প্রভৃতি শিল্পীদের গান। ১০ম শ্রেণিতে পড়ার সময় গানের প্রতি আগ্রহ জন্মায়। এরপর তিনি বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে পল্লীগীতির উপর সার্টিফিকেট কোর্স করেন। ছোটবেলা থেকেই সুরের প্রতি আকর্ষণ ছিলো প্রবল। তিনি গীতিকার ও ‍সুরকার হিসেবেও সমাদৃত। ১৯৯৬ সালে ‘আর্ক’ ব্যান্ডে থাকাকালীন ‘তাজমহল’ নামে অ্যালবাম বের করেন তিনি। এ অ্যালবামের সব গান তার লেখা ও সুরে।

তাঁর উল্লেখযোগ্য অ্যালবামগুলোর মধ্যে ১৯৯৬ সালে আর্কের ‘তাজমহল’। এ অ্যালবামটিই হাসানকে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে নিয়ে আসে। এই অ্যালবামটি সে সময় সুপার হিট হয়। এই অ্যালবাম তৈরির পর ১৯৯৮ সালে আর্ক ‘জন্মভূমি’ নামে আরও একটি ক্যাসেট বের করে। এই অ্যালবামটিও সুপার হিট হয়। এটিও রেকর্ডসংখ্যক জনপ্রিয়তা পায়।

এরপর তিনি একক অ্যালবাম ‘তাল’ বের করেন। এরপর স্বাধীনতার ব্যানারে করেন ‘কারবালা’ অ্যালবামটি। তাঁর গানের সংখ্যা দুইশ’র অধিক।

এলআরবির সাথে ২০০৪ সালে ‘বৃহস্পতি’ নামে একটি মিশ্র অ্যালবাম করেন তিনি। এরপর বেস্ট অফ হাসান, আপন কষ্ট, কন্যা মন দিলি না, লাল বন্ধু নীল বন্ধু, ফেরারী, তিনশ তিন, হ্যালো কষ্টসহ বেশ কিছু অ্যালবাম করেছেন তিনি।

হাসান ২০০১ সালে শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী হিসেবে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অর্জন করেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

11 − seven =