প্রখ্যাত জলবায়ু বিজ্ঞানী অধ্যাপক সালিমুল হক আর নেই। শনিবার রাতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
রোববার (২৯ অক্টোবর) ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইসিসিসিসএডি) ফেসবুক পেইজে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
সেখানে বলা হয়, ‘অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে আমাদের পরিচালক অধ্যাপক সালিমুল হকের মৃত্যুর খবর জানাচ্ছি। তিনি এমন একজন স্বপ্নদর্শী নেতা, যিনি শুধু জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের লড়াইয়ের মশাল বহনকারী ছিলেন না, বরং সমগ্র বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্য তার অতুলনীয় উত্তরাধিকার আগামী প্রজন্মের জন্য একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। ’
সালিমুল হকের জন্ম ১৯৫২ সালে। লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজ থেকে ১৯৭৫ সালে স্নাতক করেন সালিমুল। ১৯৭৯ সালে একই কলেজ থেকে তিনি ‘উদ্ভিদ বিজ্ঞান’ নিয়ে পিএইচডি করেন। তিনি ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেন্ট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের পরিচালক ছিলেন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছে সংস্থাটি। তার স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য কাজ করে যাচ্ছিলেন অধ্যাপক সালিমুল হক। তিনি জাতিসংঘের সব কটি জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন।
জলবায়ু বিজ্ঞানী সালিমুল হক জাতিসংঘের সংস্থা ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জের (আইপিসিসি) সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। এর রিপোর্ট তৈরিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
২০২১ সালে বিশ্বের প্রভাবশালী সহস্র জলবায়ু বিজ্ঞানীর তালিকায় স্থান পান সালিমুল হক। ২০২২ সালে যুক্তরাজ্য সরকার তাকে অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার (ওবিই) খেতাবে ভূষিত করে।
২০০১ সাল থেকে ‘ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’র (আইআইইডি) ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রোগ্রাম’-এ যুক্ত ছিলেন সালিমুল হক।