জাতিসংঘের জলবায়ু প্রতিবেদন তৈরিতে কাজ করছেন বিশেষজ্ঞরা

প্যারিসের বাইরে সোমবার প্রায় ৬০০ জন বিশেষজ্ঞ জাতিসংঘের পরবর্তী জলবায়ু প্রতিবেদন তৈরির কাজ শুরু করতে মিলিত হচ্ছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জলবায়ু পরিবর্তন ও বিশ্ব উষ্ণায়নের বিষয়ে আন্তর্জাতিক ঐকমত্যকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলার পর, তারা প্রতিবেদনটি তৈরি করতে যাচ্ছেন। খবর বাসস

২০২৩ সালে প্রকাশিত আন্তঃসরকার জলবায়ু পরিবর্তন প্যানেল (আইপিসিসি)-এর পূর্ববর্তী প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে যে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্ব ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার সীমা অতিক্রম করার পথে রয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।

জাতিসংঘ বলছে, পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তনের একটি সীমা রয়েছে, যা অতিক্রম করলে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যেমন— ঝড়, বন্যা, ও খরা দেখা দিতে পারে। আর এটি আশঙ্কার চেয়েও দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

১০০টিরও বেশি দেশের বিশেষজ্ঞরা সেন্ট-ডেনিসের একটি আকাশচুম্বী ভবনে পাঁচ দিনের জন্য মিলিত হচ্ছেন। তারা এমন একটি প্রক্রিয়া শুরু করছেন, যা আইপিসিসি’র সপ্তম মূল্যায়ন প্রতিবেদনের (এআর৭) সঙ্গে সমাপ্ত হবে এবং ২০২৮ বা ২০২৯ সালে এটি প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের কাজটি মার্কিন প্রশাসনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট গত সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘে এক বক্তৃতায় জলবায়ু পরিবর্তনকে ‘সবচেয়ে বড় প্রতারণা’ বলে উল্লেখ করেছেন।

জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত আন্তঃসরকার প্যানেল (আইপিসিসি) ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে কাজ করে থাকে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

one × two =