জ্যামাইকার কিংস্টনে গর্জে উঠেছে আহত রয়েল বেঙ্গল

সালেক সুফী

টেস্ট ক্রিকেটের রহস্যময় অঙ্গনে পথ হারিয়ে বসা বাংলাদেশ ক্রিকেট দল কাল জ্যামাইকার কিংস্টনের গতিময় উইকেটে দারুন ভাবে গর্জে উঠেছে। হল ,গ্রিফিথ, মার্শাল ,রবার্টস ,গার্নার ,হোল্ডিংদের দেশে বাংলাদেশের তরুণ নাহিদ রানা গতির ঝড় তুলে থমকে দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। বৃষ্টি বিঘ্নিত এই টেস্টের প্রথম দুইদিন অধিকাংশ সময় খেলা হয় নি. যতটুকু হয়েছে তাতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলারদের তোপের মুখে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে যায় ১৬৪ রানে। দ্বিতীয় দিন শেষে স্বাগতিক দল ১ উইকেট হারিয়ে করেছিল ৭০ রান. ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়।  অনেকেই ভেবেছিলো আরো একটি পরাজয় আর তার মাদ্ধমে হয়ত আরো একটি সিরিজ ধবল ধোলাই হতে চলেছে। দেয়ালে পিঠ থেকে গিয়েছিলো বাংলাদেশের।

তৃতীয় দিন সকালে উপযোগী উইকেটে দারুন ভাবে গর্জে ওঠে বাংলাদেশের তরুণ পেস ব্যাটারি।  বিশেষত তরুণ নাহিদ রানার দূরন্ত গতি আর বাউন্স ধসিয়ে দিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটিং।  ৭০/১ থেকে ১৪৬ অল আউট. নাহিদ একাই নিলো ৫ উইকেট। হাসান মাহমুদ ২ টি , তাসকিন ,মিরাজ ,তাইজুল একটি করে উইকেট নিলে সীমিত প্রথম ইনিংস সংগ্রহ সত্ত্বেও ১৮ রানের লিড পেলো বাংলাদেশ। এই উইকেটে দীর্ঘ সময় ব্যাটিং করা দুরূহ।  তাই প্রতি আক্রমণকে কৌশল বানিয়ে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে দ্রুত রান তুলে তৃতীয় দিন শেষে করেছে ১৯৩/৫ উইকেটে।  ৫ উইকেট হাতে নিয়ে এগিয়ে আছে ২১১ রানে। জানিনা টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান মোমিনুল ব্যাট করতে পারবে কিনা। বাংলাদেশ যদি চতুর্থ দিন ব্যাটিং করে ২৫০র বেশি টার্গেট দিতে পারে তাহলে এই উইকেটে বাংলাদেশের উঁচু মানের বোলিং মোকাবিলা করে টেস্ট জয় সহজ হবে না. তৃতীয় দিনে বাংলাদেশের বীরোচিত বোলিং বাটিংয়ের পর বাংলাদেশকে নিয়ে এই প্রত্যাশা করে যেতে পারে। ধারাবাহিক পরাজয়ের বৃন্তে থাকা বাংলাদেশের একটি টেস্ট জয় এখন বড়ো প্রয়োজন। উইকেটে পেস আছে ,যথেষ্ট বাউন্স আছে।  ফিল্ডিং ঠিক মত হলে তিন পেসার ,দুই স্পিনার বাংলাদেশের জয়ের জন্য কোমর কোষে লড়বে বলে আশা রাখি। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে সাদমান (৪৬) ,মিরাজ (৪২) ,শাহাদাত (২৮) . লিটন (২৫) করেছে। জাকের ২৯ এবং তাইজুল ৯ রান করে ব্যাটিং করছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

1 × four =