প্রচলিত আছে যে, ডিম অস্বাস্থ্যকর প্রোটিন। যার কোনো বৈজ্ঞানিক সমর্থন নেই। টাইমসঅফইন্ডিয়া ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এরকমই বেশ কিছু ভুল ধারণার আসল বিষয় তুলে ধরেছেন ভারতের ‘এগোজ নিউট্রিশন’য়ের সহকারী প্রতিষ্ঠাতা অভিষেক নেগি।
ওজন কমাতে চাইলে ডিম খাওয়া উপকারী। এটা প্রয়োজনীয় পুষ্টি যোগায় ও পেট ভরা রাখে। তবে অতিরিক্ত খাওয়া ওজন বাড়ায়। ডিম সব বয়সের মানুষই নানান উপায়ে খেতে পারেন। একটা ভালো ডিমে আনস্যাচুরেইটেড ফ্যাট, উচ্চ প্রোটিন থাকে যা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় না।
বলা হয়ে থাকে ডিম কাঁচা অবস্থায় খাওয়া রোগীদের জন্য উপকারী।তবে রান্নার পরে ডিম প্রোটিনের মাত্রা হারায় বলে কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই ডিম কাঁচা না বরং রান্না করে খাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। আদর্শ মাপের ডিমে ৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে যা দেহের চাহিদা পূরণে সহায়তা করে। ভালো বাজারজাতকারীর কাছ থেকে ডিম কেনা হলে মোড়কের গায়ে ডিমের মান ও পরিচর্যার উপায় সম্পর্কে লেখা থাকে । তা দেখে ডিমের মান যাচাই করা সহজ হয়।
সাধারণত, ডিমের ওপর পালক, ময়লা বা মুরগির বিষ্ঠা লেগে থাকলে তা সহজেই ক্রেতার কাছে জৈব ও স্বাস্থ্যকর বলে বিশ্বাসযোগ্য হয়। পালক ও বিষ্ঠার মধ্যে থাকা সালমোনেলা’র মতো ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া ডিমের মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করতে পারে। ফলে রোগাক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
ডিম কেনার পরে অনেক সময় তা দীর্ঘদিন রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করা হয়। অনেকেই মনে করেন এতে ডিম ভালো থাকে। তা ঠিক নয়। তাই ডিম রান্নার সময় এর ঘনত্ব ও গন্ধ পরীক্ষা করে দেখা উচিত। যদি কোনো পরিবর্তন দেখা দেয় তবে তা না খাওয়াই ভালো, নয়ত স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়তে পারে।
যেহেতু ডিম একটি স্বল্পমূল্যের প্রোটিন উৎস, তাই এর মান পরীক্ষা করে নেওয়া জরুরি। ডিম একটি স্বাস্থ্যকর খাবার যা বিভিন্ন হৃদরোগ ও চোখের ছানি পড়ার ঝুঁকি কমায়।এটি মস্তিষ্কের বিকাশ, হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।তাই কিছু প্রচলিত ভুল ধারণার কারণে ডিমের পুষ্টিগুণ থেকে নিজেকে বিরত রাখার কোনো মানে নেই। প্রয়োজনে কোনো বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে খাবার তালিকায় কীভাবে এবং কতটা ডিম যোগ করা যায় তার ধারণা নেওয়া যেতে পারে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়া