ঢাকায় গানে গানে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে গেলেন নচিকেতা

গতকাল শুক্রবার বিকেল থেকেই রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের সামনে লম্বা লাইন। সন্ধ্যা হতে হতেই মিলনায়তন দর্শকপূর্ণ, জীবনমুখী ধারার শিল্পী নচিকেতার অপেক্ষায় সবাই। উপস্থাপক মিনিট পাঁচেক বললেন তাঁকে নিয়ে। ঘোষণার মধ্যেই ঠিক রাত ৮টা ২৩ মিনিটে মঞ্চে হাজির সেই কাঙ্ক্ষিত পুরুষ। মঞ্চে এসেই দর্শকদের জানান অভিবাদন। আর সবার চিৎকারের জবাব দেন চুমুতে। তার পরই শুরু করেন গান।

অন্তবিহীন পথ চলাই জীবন’ দিয়ে করেন শুরু। এরপর কখনো গান থামিয়ে, কখনো দুই গানের মাঝে আলাপ জমিয়ে ফেললেন পুরো মিলনায়তনে। পুরো সময়েই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উঠে আসা গানের আবদার মিটিয়েছেন তিনি। এরপর একে একে গেয়েছেন ‘তুমি আসবে বলে’, ‘এটাই আমার অ্যাম্বিশন’, ‘দেখে যা অর্নিবাণ’, ‘ইচ্ছে’, ‘দিন শেষে রাত্রি আসে’ গানগুলো। এরপর তিনি শোনালেন ‘বৃদ্ধাশ্রম’, গানের সঙ্গে সঙ্গে মিলনায়তনে তখন যেন নেমে আসে নীরবতা।

গান শুনতে এসেছিলেন দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মনির খান। সঙ্গে এনেছিলেন তাঁর পুত্রসন্তান মুহূর্তকে। তাঁর কথায়, ‘মুহূর্তকে নচিদার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে এসেছি। এই বয়সেও মানুষটার যে প্রাণশক্তি, তা সত্যিই অবাক করে।’

টানা গান গেয়ে সোয়া ৯টার দিকে বিরতিতে যান তিনি। বিরতির ফাঁকে মঞ্চ ছেড়ে দেন সঙ্গে আসা মিউজিশিয়ানদের হাতে। নচিকেতার দাবি, তাঁরাও ভালো গান করেন। ১৫ মিনিটের বিরতি শেষে শুরু করেন ‘স্বপ্ন স্বপ্ন দেখে মন’, ‘রাজশ্রী’। গানের সঙ্গে নচিকেতা নাচলেন, নাচালেনও।

গানের মধ্যেই হঠাৎ তিনি মঞ্চে ডেকে নেন বাংলাদেশের সংগীতশিল্পী জয় শাহরিয়ারকে, যার পারফরম্যান্সে শুরু হয়েছিল আয়োজন। দুজন মিলে গাইলেন ‘যদি নিজের সঙ্গে দেখা হয়ে যায়’। আর গানের মধ্য দিয়ে জানান যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান।

সংগীতজীবনের ৩০ বছর পার করছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী। জীবনমুখী গানের শিল্পী বলা হয় তাঁকে। ৩০ বছর উপলক্ষে এবার ঢাকায় গান শোনাতে এসেছেন তিনি। রাজধানীর কেআইবি মিলনায়তনে ছিল এই আয়োজন। ‘নচিকেতা লাইভ ইন ঢাকা উইথ জয় শাহরিয়ার’ শিরোনামের এই আয়োজন করেছিল আজব রেকর্ডস। অনুষ্ঠানের শুরুতে দর্শকদের গান শুনিয়েছেন সংগীতশিল্পী জয় শাহরিয়ার।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

16 − two =