ঢাকা থিয়েটারের চল্লিশ

১৯৭৩ সালের ২৯ জুলাই কয়েকজন তরুণ মুক্তিযোদ্ধা প্রতিষ্ঠা করেন ঢাকা থিয়েটার। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশের নাট্যমঞ্চে মৌলিক নাটক মঞ্চায়নের মধ্য দিয়ে তাঁরা পার করেছেন ৪০ বছরের দীর্ঘ নাট্যযাত্রা। সেই উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে ৪০ বছর পূর্তি উৎসব। এ উৎসবের স্লোগান ‘বিশ্ব রঙ্গমঞ্চে ঝংকৃত হোক বাঙলা নাটকের শাশ্বত সুর’।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর সেমিনার কক্ষে ‘ঢাকা থিয়েটারের চার দশক, গ্রাম থিয়েটারের তিন দশক’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন অধ্যাপক আফসার আহমদ। সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। এই সেমিনারের মধ্য দিয়ে শুরু হলো উৎসবের কার্যক্রম।
বৃষ্টিভেজা দুপুরে নাট্যকর্মীদের উচ্ছল উপস্থিতি আর সুধীজনের অংশগ্রহণে সেমিনার শুরু হয়। মূল প্রবেন্ধ আফসার আহমেদ দলের ৪০ বছরের অগ্রযাত্রার মূল কথা বিস্তারিত করেন। স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা থিয়েটারের সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা-উত্তর রাজনৈতিক অস্থিরতা আর রুগ্ণ অর্থনীতির বাতাবরণে দেশের মানুষ যখন সংকটাপন্ন, সেই এক অনিশ্চিত সময়ে ঢাকা থিয়েটারের জন্ম। সেই থেকে নানা পথ-পরিক্রমার মধ্য দিয়ে তারা একের পর এক আলোচিত মঞ্চ নাটক উপহার দিয়ে আসছে। দলটি দেশের মঞ্চ নাটকের রূপরীতির বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। নাটকের আঙ্গিক নিয়ে নানা পরীক্ষা- নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে ঢাকা থিয়েটার ৪০ বছরে উপনীত হয়েছে। বক্তারা ঢাকা থিয়েটার ও গ্রাম থিয়েটারে বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

নাসির উদ্দীন ইউসুফ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বিস্তারিত কর্মসূচি জ্ঞাপন করেন। তিনি জানান, কাল সোমবার জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনে প্রদর্শিত হবে দলের ঢাকা থিয়েটারের প্রতিনিধিত্বশীল কয়েকটি নাটকের অংশবিশেষের কোলাজ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

4 × 5 =