নতুন তিন সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে কেমন সাড়া পাচ্ছে

বছরের প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘ব্ল্যাক ওয়ার’। গত ১৩ জানুয়ারী  ৪৪ সিনেমা হলে মুক্তি পায় সিনেমাটি। মুহম্মদ জাফর ইকবালের জনপ্রিয় কিশোর উপন্যাস ‘রাতুলের দিন রাতুলের রাত’ অবলম্বনে নির্মিত শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ মুক্তি পায় ২০ জানুয়ারি। এর সঙ্গে পরবর্তীতে আরো যুক্ত হয় খন্দকার সুমন পরিচালিত ‘সাঁতাও’ সিনেমাটি।  স্টার সিনেপ্লেক্সের সিনিয়র বিপণন কর্মকর্তা মেজবা উদ্দীন সুমন বলেন, এখানে ‘ব্ল্যাক ওয়ার’, ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ এবং ‘সাঁতাও’ তিনটি দেশি সিনেমা চলছে। প্রথম প্রথম ব্ল্যাক ওয়ার মোটামুটি ভালো চলছিল। কিন্তু আশানুরূপ চলছে না। আমাদের হতাশ করেছে সিনেমাগুলো।

যমুনা ব্লকবাস্টার সিনেমাসে চলছে ‘ব্ল্যাক ওয়ার’ এবং ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’। কেমন চলছে সিনেমা দুটি জানতে চাইলে যমুনা ব্লকবাস্টার সিনেমাসের অপারেশন হেড এএইচ রাজু বলেন, যতটা আশা করেছি ততটা দর্শক হচ্ছে না। ২৮০ টা আসন যদি ফুল না হয় তাহলে আমাদের লস। এতদিন হল আমাদের এখানে একদিনও হাউসফুল যায়নি।

শ্যামলী স্টার সিনেপ্লেক্সের ম্যানেজার হাসান বলেন, আবার আগের মতো অবস্থা শুরু হয়েছে। প্রথমে ‘ব্ল্যাক ওয়ার’ একটু ভালো গেছে। তারপর ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ ভালো গেল না। আবার ‘ব্ল্যাক ওয়ার’ তুললাম কিন্তু দর্শক আসে না। এভাবে আমাদের স্টাফরা কিভাবে চলবে সেটা নিয়ে মালিকপক্ষ চিন্তায় আছে।

২২ আসন নিয়ে সিরাজগঞ্জে তৈরি হয় রুটস সিনেক্লাব। প্রথমে ব্যাক ওয়ার এবং তারপর অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন সিনেমাটি চালায় কতৃপক্ষ। তবে রুটস সিনেক্লাবের চেয়ারম্যান সামিনা আক্তার বেশ হতাশ দর্শক নিয়ে। তিনি  বলেন, ব্ল্যাক ওয়ার ১৫ দিন চালাই, কিন্তু দর্শক নেই। ৩-৪ জন করে দর্শক হত। এমনকি সারাদিন কোনো দর্শক ছিল না। এখন অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন চলছে একই অবস্থা। আজ সারাদিন কোনো দর্শক নেই।

সিলভার স্ক্রিন হলের ম্যানেজার সালাউদ্দীন জানান, পরাণ এবং হাওয়ার যে হাওয়া ছিল তা আর নাই। অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন আর সাঁতাও এখানে চলছিল কিন্তু হতাশ। সেই দর্শকের জোয়ার নাই।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

nineteen − 9 =