তৃতীয় দিনেও করোনা শনাক্ত ১৫৮০৭ জনের

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের বিস্তারের মধ্যে টানা তৃতীয় দিনের মত ১৫ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে দেশে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪৯ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ১৫ হাজার ৮০৭ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে, মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের।

এর আগে মঙ্গলবার ১৬ হাজার ৬৬ জন রোগী শনাক্তের খবর এসেছিল, যা মহামারীর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। আর বুধবার ১৫ হাজার ৫২৭ জন রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের দাপটের সময়, গত বছরের ২৮ জুলাই ১৬ হাজার ২৩০ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল, মহামারীর মধ্যে সেটাই সর্বোচ্চ।

ডেল্টার ধাক্কা সামলে বাংলাদেশের মহামারী পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল গত বছরের শেষে। ডিসেম্বরে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ঘোরাফেরা করছিল ২০০ থেকে ৩০০ এর ঘরে। শনাক্তের হার নেমে এসেছিল ২ শতাংশের নিচে।

কিন্তু বিশ্বে করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক নতুন ধরন ওমিক্রনের বিস্তার শুরুর পর জানুয়ারির শুরু থেকে বাংলাদেশেরও আবার দ্রুত উঠতে থাকে সংক্রমণের গ্রাফ।

জানুয়ারির প্রথম দিনও শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল চারশর নিচে, এখন তা ১৫ হাজারের বেশি থাকছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হারও থাকছে ৩০ শতাংশের উপরে।

গত এক দিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ৯ হাজার ৭৬৯ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা, যা মোট আক্রান্তের ৬১ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

গত এক দিনে ঢাকা বিভাগের মধ্যে ঢাকা জেলায় ৮৪৯৩ জন, গাজীপুরে ২৪২ জন, কিশোরগঞ্জে ১১৯ জন, নারায়ণগঞ্জে ২২১ জন এবং নরসিংদীতে ১৫২ জন এবং টাঙ্গাইলে ১৩৭ জনের কোভিড শনাক্ত হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে চট্টগ্রাম জেলায় ১১২৭ জন, কক্সবাজারে ২৬৫ জন, নোয়াখালীতে ১০৯, চাঁদপুরে ১২৩ জন এবং কুমিল্লায় ২৪১ জন; রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী জেলায় ৩১০ জন, পাবনায় ১৮৯ জন, সিরাজগঞ্জে ১৩৫ জন, বগুড়ায় ২১০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।

এছাড়া খুলনা বিভাগের মধ্যে খুলনা জেলায় ২৮০ জন, যাশোরে ২০৪ জন, কুষ্টিয়ায় ১৩৬ জন; সিলেট বিভাগের সিলেট জেলায় ৫২০ জন, মৌলভীবাজারে ১৪২ জন; বরিশাল জেলায় ১৩৪ জন, রংপুর জেলায় ১০১ জন এবং ময়মনসিংহে ২৬১ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে গত এক দিনে।

বিডিনিউজ

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

thirteen − 5 =