ক্রিকেটের ব্যস্ত সূচিতে ফুরসত নেই নারী ক্রিকেট দলের। বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব খেলে এসে এশিয়া কাপে শিরোপা ধরে রাখার মিশনেও নামত হচ্ছে নিগার সুলতানার দলকে। তার ওপর সিলেটে পড়েছে ভীষণ গরম। শিরোপা অক্ষুণ্ন রাখতে এই গরমেও তারা গত দুই দিন কঠোর অনুশীলন করেছে।
শনিবার সকালে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে স্বাগতিক বাংলাদেশের ম্যাচ দিয়ে টুর্নামেন্টের পর্দা উঠবে। স্বাগতিকদের লক্ষ্য অবশ্যই শিরোপা অক্ষুণ্ন রাখা, কিন্তু বাংলাদেশের অধিনায়ক ম্যাচ বাই ম্যাচ ধরেই পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন। এক প্রশ্নের জবাবে নিগার সুলতানা বলেছেন, ‘নিজের ঘরে ওভাবে চ্যালেঞ্জ আমরা মনে করছি না। কারণ, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলা। অন্য দলের শক্তিও দেখছি না। আমরা আমাদের ক্রিকেটটাই খেলতে চাই।
তাই বলে নিগার সুলতানা অন্য দলগুলোকে হালকা করে দেখছেন না। বরং সমীহ করছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক, ‘সব দলই কিন্তু উন্নতি করেছে। আমরাও উন্নতি করেছি, সো সবক্ষেত্রেই সবদিক বিবেচনা করা যায়। অবশ্য যে ভিন্ন ক্রিকেট ইনভায়রনমেন্ট আছে বা এখন প্রত্যেকটা দলের যে স্ট্রেন্থ বেড়ে গেছে, সেখানে আমরাও ইম্প্রুভ করেছি। সব মিলিয়ে নিজেদের ক্রিকেটটা খেলতে চাই এবং আমাদের পরিকল্পনায় এগোতে চাই।’
সিলেটে প্রচণ্ড গরমে দিনের বেলায় ম্যাচ খেলেতে হবে বাংলাদেশকে। জ্যোতি অবশ্য জানিয়েছেন, এই প্রতিকূলতা তাদের জন্য কোনও সমস্যাই নয়, ‘আবহাওয়া নিয়ে এখন আমরা চিন্তা করছি না। কারণ, আমরা আবুধাবিতে খেলে এসেছি, ওখানে কিন্তু গরমের মাত্রা আরও বেশি ছিল। সব মিলিয়ে ভালো একটা প্রস্তুতি আমাদের হয়েছে। সবচেয়ে ভালো খবর যেটা, ওই গরমে কোনও খেলোয়াড়ের মাসলপুল বা কোনও চোট পাইনি। তার মানে সব খেলোয়াড় ফিট আছে, এখানেও আমরা চাইবো সব খেলোয়াড় যেন ফিট থাকে, তৈরি থাকে।’
বাছাই পর্বে ব্যক্তিগতভাবে সময়টা দারুণ কেটেছে নিগার সুলতানার। ৫ ম্যাচে দুই হাফসেঞ্চুরিতে ১৮০ রান করে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় রান সংগ্রাহক হয়েছিলেন। এশিয়া কাপেও এই পারফরম্যান্স ধরে রাখতে চান তিনি, ‘সবসময় পরিকল্পনা এমন থাকে যে দল আমার কাছে কী চাচ্ছে। সুতরাং যে পরিস্থিতিতে যেভাবে খেলতে হবে, আমি সেভাবে দলের জন্য কন্ট্রিবিউট করতে রাজি। সব মিলিয়ে যেটা মনে হয়, আমি যেহেতু আল্লাহর রহমতে ভালো ফ্লোতে আছি, সেটা যদি চালিয়ে যেতে পারি, তাহলে দলের জন্য অনেক ভালো হবে।’
সাম্প্রতিক সময়ে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম নারী ক্রিকেটারদের জন্য হোম ভেন্যু হয়ে উঠছে। এখানেই চলছে ক্রিকেটারদের নিবিড় অনুশীলন। সব মিলিয়ে অন্য দলগুলোর চেয়ে নিজেদের কিছুটা এগিয়েই রাখছেন অধিনায়ক, ‘অবশ্যই সিলেট যেহেতু আমাদের হোম ভেন্যু চেষ্টা করবো এডভান্টেজটা নেওয়ার জন্য। সব মিলিয়ে যেহেতু এখানে বেশি ক্রিকেট খেলি, আমার কাছে মনে হয় সেই এডভান্টেজ আমরা কাজে লাগাতে পারবো।’
এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে ৭টি দল। রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে প্রতিটি দল ৬টি করে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে। সেখান থেকে টেবিলের শীর্ষ ৪ দল খেলবে সেমিফাইনাল। সেমিফাইনাল হবে ১৩ অক্টোবর। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ ১৫ অক্টোবর। মোট ২৪ ম্যাচের ৯টি হবে সিলেটের আউটার ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। বাকি ১৫ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
বাংলা ট্রিবিউন