দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে তীব্র দাবদাহ বিগত ২০০ বছরের সব রেকর্ড ভেঙেছে। গেলো এপ্রিল মাস ছিল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জন্য সবচেয়ে উষ্ণতম মাস। খবর একাত্তর অনলাইন
মার্কিন সংবামাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যাট্রিবিউশনের (ডব্লিউডাব্লিউএ) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাধারণত এপ্রিল এবং মে মাস দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় উষ্ণতম মাস।
কিন্তু চলতি বছর এই দুই মাস শেষ হওয়ার পরও দেশগুলো যে পরিমাণ দাবদাহের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা আগে কখনো দেখা যায়নি। তীব্র দাবদাহের কারণে ঝুঁকির মুখে পড়েছে এসব অঞ্চলের জনস্বাস্থ্য। তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রভাব পড়ছে ফসল উৎপাদনেও।
থাইল্যান্ডে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ এপ্রিল। সেদিন দেশটিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট)। থাইল্যান্ডের প্রতিবেশী দেশ লাওসে মে মাসে টানা দুদিন তাপমাত্রা ছিল ৪৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
অন্যদিকে ভিয়েতনামের সর্বকালের তাপমাত্রার রেকর্ডও ভেঙে যায়। মে মাসের শুরুর দিকে ভিয়েতনামের গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১ জুন, দেশটির তাপমাত্র ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াসে (১১১ ডিগ্রি ফারেনহাইট) পৌঁছায়।
ডব্লিউডাব্লিউএ বলছে, মানব সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তন ছাড়া তাপমাত্রার এ রেকর্ড “কার্যত অসম্ভব”। দূষণের কারণে এসব দেশের বড় বড় শহরগুলোতে ধোঁয়াশার পরিমাণও বেড়ে গেছে যা তাপমাত্রা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের আরও সতর্ক হতে হবে। এ বিষয়ে দেশগুলোর সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে তীব্র দাবদাহ পুড়ছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো।