দ্বিতীয় দিনশেষে পরিশ্রান্ত বাংলাদেশের সামনে রানের পাহাড়

সালেক সুফী

অবশ্য জয়ী হওয়া প্রয়োজন চট্টগ্রাম টেস্টে দ্বিতীয় দিনশেষে বাংলাদেশের সামনে শ্রীলংকার ৫৩১ রানের বিশাল রানের পাহাড়। দিনশেষে ১ উইকেট হারিয়ে ৫৫ করেছে বাংলাদেশ। বাঁচা মরার এই টেস্টে শুধুমাত্র ফলোঅন এড়াতেই ২৬৭ রান করতে হবে।  তবু সান্তনা সিলেট টেস্টের উভয় ইনিংসের মত শুরুতেই ধসে পড়েনি বাংলাদেশ ব্যাটিং।

লাহিরু কুমারা দিনের শেষ লগ্নে দ্রুতগতির ইনসুইং বলে মাহমুদুল হাসান জয়ের উইকেট উপরে ফেলার আগে পর্যন্ত ভালো সূচনা করেছিল জয়-জাকির জুটি। শ্রীলংকান ইনিংসে ৬ জন ব্যাটসম্যান-কুশাল মেন্ডিস ৯৩, কামিন্দু মেন্ডিস ৯২*, দীনেশ করুনারত্নে ৮৬, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ৭০, দীনেশ চান্দিমাল ৫৯ এবং নিশান মাধুস্কা ৫৭ করলেও কেউ শতরানের দেখা পায় নাই।

সিলেটের তুলনায় অপেক্ষাকৃত ব্যাটিং সহায়ক উইকেট বাংলাদেশ উন্নততর বোলিং করলেও ৫টি সহজ ক্যাচ ফস্কানোর কারণে শ্রীলংকার ইনিংস কম রানে সীমিত করা যায়নি। উইকেট হয়তো কাল শেষ সেশন থেকে ক্রমাগত স্পিন সহায়ক হয়ে উঠবে। বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানরা নিজেদের প্রয়োগ করে খেলতে পারলে এই টেস্ট অন্ত পরাজয়  এড়াতে পারবে। কিন্তু প্রথমেই ৩৩২ করে ফলোঅন  এড়াতে হবে।

কাল ৪  উইকেট হারিয়ে ৩১৪ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে শ্রীলংকা।  বাংলাদেশ আশা করেছিল শুরুতে কয়েকটি উইকেট নিয়ে চাপ সৃষ্টি করবে অতিথি দলের উপর।  নিয়ন্ত্রিত বোলিং করলেও হয়নি সেই লক্ষ্যপূরণ। নিজেদের প্রয়োগ করে খেলে শ্রীলংকান ব্যাটসম্যানরা।  বাংলাদেশ ফিল্ডিং বিশেষত ক্যাচ ফস্কানো ছিল রীতি মত লজ্জাজনক।

টপ অর্ডারের ৭ ব্যাটসম্যানের ৬ জন ৫০ উর্ধ্বে  স্কোর করে।  ৫টি ফস্কানো কি অর্ধেক ধরা হলেও শ্রীলংকার স্কোর ৪৫০ সীমিত রাখা যেত। সাকিব নিজেকে উজাড় করে ৩ উইকেট তুলে নেয়।  উইকেটে সহায়তা না থাকলেও হাসান মাহমুদ এবং খালেদ ভালো বোলিং করেছে বলবো। তিন তিনটি রান আউট না হলে হয়তো শ্রীলংকান ইনিংস ৬০০ রানে পৌঁছান অসম্ভব ছিল না। শ্রীলংকার নতুন ব্যাটিং হিরো কামিন্দু মেন্ডিস ( ৯২*) সঙ্গীর অভাবে ধারাবাহিক তৃতীয় টেস্ট শতরান বঞ্চিত হয়। ৫৩১ প্রথম ইনিংসে বড় স্কোর।  নিতান্ত দুর্ভাগ্য না হলে নিরাপদ স্কোর বলা যায় বিশেষত বাংলাদেশকে যখন চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে হবে।

জবাবে বাংলাদেশের শুরুটা মন্দ হয়নি। লাহিরু কুমারার একটি দুর্দান্ত ইনসুইং বলে মাহমুদুল হাসান জয় আউট হবার আগ পর্যন্ত ভালো খেলছিল জয়-জাকির জুটি। দিনশেষে ১ উইকেট হারিয়ে ৫৫ রান করেছে বাংলাদেশ। এখনো পিছিয়ে ৪৭৬ রানে।  ফলোঅন এড়াতেই করতে হবে ২৬৭ রান। লম্বা ব্যাটিং লাইন আপ নিয়ে নিজেদের প্রয়োগ করে খেললে বাংলাদেশের আতঙ্কের কোন কারণ দেখি না। তবে বাংলাদেশকে নিয়ে অন্তত টেস্ট ক্রিকেটে নিশ্চিত করে কিছু বলা যায় না।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

one × 4 =