নন্দিত অভিনেত্রী শবনমের জন্মদিন আজ

‘আয়নাতে ওই মুখ দেখবে যখন, কপোলের কালো তিল পড়বে চোখে’ ষাটের দশকের এ গানটি আজও সমান জনপ্রিয়। মাহমুদুন্নবীর গাওয়া কালজয়ী এ গানটি চিত্রনায়িকা শবনমের উদ্দেশ্যে নায়ক রাজ রাজ্জাকের লিপে শোনা যায়।

নন্দিত এ অভিনেত্রীর জন্মদিন মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট)।

১৯৪৬ সালের আজকের এ দিনে জন্মগ্রহণ করেন শবনম। তার পারিবারিক নাম ঝর্ণা বসাক। বাবা ননী বসাক ছিলেন একজন স্কাউট প্রশিক্ষক ও ফুটবল রেফারী।

শবনম চলচ্চিত্রে যুক্ত হয়েছিলেন ১৯৫৮ সালে। ১৯৬১ সালে ‘হারানো দিন’ সিনেমার মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন শবনম। এরপরের বছর উর্দু সিনেমা ‘চান্দা’য়  অভিনয় করে পাকিস্তানে তারকাখ্যাতি পান তিনি।

শবনম বাংলাদেশের সিনেমায় অভিনয় করলেও দীর্ঘ সময় অভিনয় করেছেন পাকিস্তানের সিনেমায়। পাশাপাশি এ অভিনেত্রী অভিনয় করেছেন পাঞ্জাবি চলচ্চিত্রেও। পাকিস্তানের সিনেমায় তার অবদান এতোটাই যে সেখানকার মহানায়িকা বলা হয়ে থাকে শবনমকে। তার অভিনয়ের গুণে দেশটির চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ পুরস্কার নিগার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ১১ বার।

ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে শবনম পাকিস্তানের সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন। সেখানে আশির দশকের শেষ পর্যন্ত একচ্ছত্র বিস্তার করেছিলেন তিনি। হয়তো বিশ্বে তিনিই একমাত্র অভিনেত্রী যিনি ১৯৬০ থেকে ১৯৮০ এর দশক পর্যন্ত তিন দশক ধারাবাহিকভাবে একটি ইন্ড্রাস্টিতে সর্বোচ্চ জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছিলেন।

এ সময়কালে পাকিস্তানে শবনম-ওয়াহিদ মুরাদ, শবনম-নাদিম জুটি জনপ্রিয় ছিল। পরবর্তীকালে পাকিস্তানে বসবাস শুরু করায় পাঞ্জাবি সিনেমাতেও অভিনয় করেন এ অভিনেত্রী।

ষাটের দশকে তার অভিনীত ‘তালাশ’ সিনেমা পাকিস্তানে মুক্তি পেলে ওই সময়ের সর্বাপেক্ষা ব্যবসা সফল সিনেমার মর্যাদা লাভ করে। এছাড়া তার অভিনীত ‘আয়না’ সিনেমা পাকিস্তানের সিনেমা হলগুলোতে দীর্ঘদিন চলার রেকর্ড করে।

১৯৮৮ সালে পুনরায় ঢাকাই চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন শবনম। আর নব্বইয়ের দশক থেকে স্থায়ীভাবে বাংলাদেশে বসবাস শুরু করেন। অভিনয় জীবনে প্রায় ১৮০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। সবশেষ এই অভিনেত্রী নায়ক মান্না অভিনীত ‘আম্মাজান’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এরপর তাকে আর চলচ্চিত্রে দেখা যায়নি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

eleven − 6 =