দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রত্যাখ্যাত হয়ে নাইজেরিয়ার বিউটি কুইন

সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার সুন্দরী প্রতিযোগিতায় একজনের জাতীয়তা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। যাকে নিয়ে এই বিতর্ক তিনি হলেন শিদিম্মা আদেতশিনা। শেষ পর্যন্ত প্রতিযোগিতা থেকে তিনি সরে দাঁড়িয়েছিলেন। রোববার বিবিসি জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রত্যাখ্যাত হলেও সম্পূর্ণ আলাদা আরেক দেশ নাইজেরিয়ার সেরা সুন্দরী নির্বাচিত হয়েছেন শিদিম্মা।

সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী নভেম্বরে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় নাইজেরিয়ার প্রতিনিধিত্ব করবেন শিদিম্মা। গত শনিবার মিস ইউনিভার্স নাইজেরিয়া হিসেবে নাম ঘোষণার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। এ সময় ২৩ বছর বয়সী এই আইনের ছাত্রী বলেন, ‘এই মুকুট শুধু সৌন্দর্যের জন্য নয়, এটি একতারও আহ্বান।’

দক্ষিণ আফ্রিকার সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার জের ধরে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই গণমাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন এই কৃষ্ণসুন্দরী। কারণ সেই প্রতিযোগিতায় ফাইনালিস্ট হিসেবে উত্তীর্ণ হওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকার কিছু মানুষ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তাঁর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কারণ দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিক হলেও শিদিম্মার বাবা একজন নাইজেরিয়ান এবং তাঁর মায়ের শিকড় রয়েছে মোজাম্বিকে। বিতর্কের মুখে শেষ পর্যন্ত প্রতিযোগিতা থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন শিদিম্মা।

এক সাক্ষাৎকারে শিদিম্মা জানিয়েছিলেন, তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার সোয়েটোতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এটি জোহানেসবার্গের পাশের একটি শহর। তিনি বড় হয়েছেন কেপ টাউনে।

শিদিম্মার গল্প শোনার পর মিস ইউনিভার্স নাইজেরিয়ার আয়োজকেরা তাঁকে তাঁদের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানান। নাইজেরিয়ার কর্তৃপক্ষ সে সময় বলেছিল—আপনি আপনার বাবার দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে সক্ষম হবেন।

মিস ইউনিভার্স নাইজেরিয়া হয়ে আবারও আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছেন শিদিম্মা। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁকে প্রশংসার জোয়ারে ভাসিয়ে দিচ্ছেন। তাঁকে উদ্দেশ্য করে ইনস্টাগ্রামে এক নারী লিখেছেন, ‘আপনার গল্পটি অনুপ্রেরণাদায়ক। আপনি আপনার ধারণার চেয়ে শক্তিশালী এবং আমাদের আফ্রিকান বোন আমরা আপনাকে ভালোবাসি।’

আরেকজন লিখেছেন, ‘আমরা নাইজেরিয়ানরা তাঁকে নিয়ে গর্বিত। তিনি আমাদের নিজের বোন, খুব স্মার্ট, বুদ্ধিমান মেয়ে। আমাদের নাইজেরিয়ান রক্ত তার শিরা দিয়ে বয়ে যায়।’

নভেম্বরে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিনিধিত্ব করবেন মিয়া লে রক্স নামে আরেক আইনের ছাত্রী। ইতিহাসের প্রথম বধির নারী হিসেবে মুকুট জয় করেছেন তিনি। মিস ইউনিভার্সের চূড়ান্ত পর্বে দ্বিতীয়বারের মতো শিদিম্মা আদেতশিনার মুখোমুখি হবেন তিনি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

16 − 5 =