নাটকীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়ের কাছে হেরে খাদের কিনারায় পাকিস্তান

সালেক সুফী

টি ২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে নাটকীয়তা চরমে। কাল পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পার্থ শহরে অপটাস স্টেডিয়ামে এমনি এক উত্তেজনাকর ম্যাচে ১ রানে পাকিস্তানকে পরাজিত করে আরো একটি নাটকের জন্ম দিয়েছে জিম্বাবুয়ে। এমনি এক ম্যাচে মেলবোর্ন ডার্বিতে শেষ বলে হেরেছিল পাকিস্তান ভারতের কাছে। দুই ম্যাচ হেরে পাকিস্তান এখন খাদের কিনারে। সেমি ফাইনালে খেলবে কিনা তা এখন নানা সমীকরণের বিষয়। অপর  দিকে টুর্নামেন্ট আউটসাইডার জিম্বাবুয়ের সুযোগ এসেছে ভালো খেলে সেমি ফাইনাল খেলার চেষ্টা করা।

কাল পার্থের পেসি বাউন্সি উইকেটে ভালো শুরু করেও একসময় পাকিস্তানের তুখোড় বোলিংয়ের মোকাবিলায় মামুলি ১৩০/৮ করেছিল জিম্বাবুয়ে। কিন্তু উইকেটের সহায়তা নিয়ে ওরা পাকিস্তানকে চেপে ধরে শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় পাকিস্তানকে ১২৯/৮ উইকেটে সীমিত রেখে ১ রান জয় পায়।  ওদের এই জয়ে গ্রুপের প্রযোজিত তীব্রতর হয়। ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ের সঙ্গে এখন পাকিস্তানের সুযোগ আছে সেমি ফাইনাল খেলার।

পার্থের গতির উইকেটে শাহীন আফ্রিদি, হারিস রউফ, নাসিম, ওয়াসিম আগুন ঝরাবে সেটি ভেবেছিলো সবাই। প্রথম ব্যাটিং করে চমৎকার শুরু করেছিল জিম্বাবুয়ে ওপেনার যুগল। কিন্তু ৪২ রানে প্রথম উইকেট পতনের পর থিম গেলো মোমেন্টাম। ওয়াসিম (৪/২৪), সাদাব খান (৩/৩৩) চমৎকার বোলিং করে ১৩০/৮ উইকেটে সীমিত রাখে ওদের। ৯৫ রানে চার চারটি উইকেট পড়ে না গেলে স্কোর ১৬০ হতেও পারতো।

অনেকেই ভেবেছিলো হেসে খেলে পেরিয়ে যাবে পাকিস্তান। কিন্তু বিধি বাম। উইকেটের সহায়তা নিয়ে জিম্বাবোয়ে শুরুতেই ফিরিয়ে দিলো পাকিস্তান বাটটিঙের মূল ভরসা বাবর আজম আর মোহাম্মদ রিজওয়ানকে। ভারত -পাকিস্তান ম্যাচের নায়ক ইফতিখার সহজে ফায়ার গেলে পাকিস্তান ইনিংসে ভাটার টান লাগে। একমাত্র শান মাসুদ (৪৪) ছাড়া আর কেউ কিছুই করতে পারে নি ওদের টাইট বোলিং আর কখনো হারবো না দর্শনের ফিল্ডিংয়ের কারণে। তবুও শেষ দিকে জমে গিয়েছিলো খেলা। শেষ ওভারের নাটকে ১২৯/৮ রান করে ১ রানে হারলো পাকিস্তান।

এবারের অনিশ্চিত বিশ্বকাপে নাটক হতেই থাকলো।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

ten + thirteen =