নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের প্রয়াণ দিবস আজনাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের প্রয়াণ দিবস আজ
বাংলা নাটকে নতুন ধারার প্রবর্তক নাট্যাচার্য ড. সেলিম আল দীনের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শুক্রবার। তিনি ২০০৮ সালের ১৪ জানুয়ারি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কেন্দ্রীয় মসজিদের কাছে তাকে সমাহিত করা হয়।
ঔপনিবেশিক সাহিত্যধারার বিপরীতে গিয়ে নাটককে আবহমান বাংলার গতিধারায় ফিরিয়ে এনেছিলেন তিনি। বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের স্বপ্নদ্রষ্টা এই মহারথী। তিনি ঢাকা থিয়েটারেরও প্রাণপুরুষ।
নানা পদকে ভূষিত এই নাট্যকারের প্রয়াণ দিবস করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে পালন করা হবে। দিবসটি উপলক্ষে ‘এই মুখ তোমার মুখ, একাকার একাকার’ স্লোগান নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
১৯৪৯ সালের ১৮ আগস্ট বর্তমান ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার সেনের খিলে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার সৃষ্টিশীলতার কিরণচ্ছটা ভারতবর্ষ ছাড়িয়ে ইউরোপ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এমএ ডিগ্রি নেওয়ার পর কর্মক্ষেত্র হিসাবে বেছে নেন শিক্ষকতাকে। ১৯৭৪ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসাবে যোগ দেন। এরপর থেকেই তার কর্মক্ষেত্র বিস্তৃত হতে থাকে।
১৯৮৬ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তার উদ্যোগেই খোলা হয় নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করে এই বিভাগকে তিনি অধিষ্ঠিত করেন মর্যাদার আসনে। শিক্ষকতার পাশাপাশি ১৯৮১-৮২ সালে দেশব্যাপী গড়ে তোলেন বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার। এর আগেই অবশ্য তার শিল্পসঙ্গী নাট্যনির্দেশক নাসির উদ্দিন ইউসুফের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ঢাকা থিয়েটার প্রতিষ্ঠা করেন।
সেলিম আল দীন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ১৯৮৪ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৯৬ সালে জাতীয় চলচিত্র পুরস্কার এবং ২০০৭ সালে একুশে পদকে ভূষিত করা হয় তাকে।
বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের উপদেষ্টা ছিলেন তিনি। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সদস্যও ছিলেন। বর্ণময় কর্মজীবনে দেশে-বিদেশে বহুবার সংবর্ধিত হয়েছেন তিনি।
বার্তা২৪.কম