নিলামে বিক্রি হবে মাইকেল জ্যাকসনের ‘মুনওয়াক’ হ্যাট

গানের তালে নৃত্যের নান্দনিক ছন্দ, সঙ্গে নিজস্ব সাজপোশাক। মাথায় সেই চিরচেনা হ্যাট। হ্যাঁ, বলা হচ্ছে বিশ্বখ্যাত পপ তারকা মাইকেল জ্যাকসনের কথা। যার নাচ ও গানে বুঁদ হয়ে থাকত দর্শক-শ্রোতারা। আজও সমানভাবে আন্দোলিত তার শৈল্পিক উপস্থাপনা।

১৯৮৩ সালে মোটাউন কনসার্টে ‘বিলি জিন’ গানটি পরিবেশনের সময় কালো রঙের হ্যাটটি পরে ‘মুনওয়াক’ নেচেছিলেন জ্যাকসন। এবার সেই কালো হ্যাটটিই তোলা হচ্ছে নিলামে।

চলতি বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর আর্টপেজেস এবং লেমন অকশন নামের একটি কোম্পানি ফ্রান্সের প্যারিসে সংগীত জগতের বিভিন্ন স্মারক নিয়ে নিলামের উদ্যোগ নিয়েছে। ওই নিলামে ‘কিং অব পপ’ জ্যাকসনের হ্যাটটিও তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

জানা গেছে, প্রায় ২০০টি সামগ্রী তোলা হবে নিলামে। এর মধ্যে জ্যাকসনের কালো হ্যাটটির জন্য ৬০ হাজার থেকে ১ লাখ ইউরো আশা করা হচ্ছে।

ওই নিলামে যুক্তরাষ্ট্রের সংগীতশিল্পী টি বোন ওয়াকারের একটি গিটার, ব্রিটিশ সংগীতশিল্পী মার্টিন গোরের ব্যাবহৃত স্যুট এবং যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পী ম্যাডোনার একটি স্বর্ণপদকও থাকবে। আগামী ৪ জুলাই নিলামে তোলা সামগ্রীর একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হবে।

আজ থেকে চল্লিশ বছর আগে ‘বিলি জিন’ কনসার্টের সময় খ্যাতির শীর্ষে ছিলেন জ্যাকসন। গানের শুরুতেই কিন্তু জ্যাকসন ‘মুনওয়াক ড্যান্স’ করেননি। করেছেন গানের একদম শেষ পর্যায়ে। পরে সেই ‘মুনওয়াক’ই হয়ে ওঠে জ্যাকসনের ‘আইকনিক ড্যান্স’।

এই নাচের বৈশিষ্ট্য হলো, নাচে সামনে হাঁটার ভঙ্গি করলেও শিল্পী চলে যান পেছনের দিকে। এই নাচের জন্য বিশেষ জুতা ব্যবহার করতেন জ্যাকসন। যে জুতার নকশাও তিনি নিজে করেছিলেন।

১৯৫৮ সালে জন্ম নেওয়া মাইকেল জ্যাকসনের গানের শুরু ৫ বছর বয়সে। ২০০৯ সালের ২৫ জুন না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি। পৃথিবীতে তিনি আর না থাকলেও তার সৃষ্টির মাধ্যমে ভক্ত হৃদয়ে অনন্তকাল বেঁচে থাকবেন বিশ্বসংগীতের এই কিংবদন্তি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

twenty − thirteen =