নিশ্চিত পরাজয়ের পথে বাংলাদেশ

সালেক সুফী: বাংলাদেশের ৩৬৫ রানের জবাবে টেস্টসুলভ চমৎকার ব্যাটিংয়ে ৫০৬  করে ১৪১ রানে এগিয়ে যায় শ্রীলংকা।  চতুর্থ দিনশেষে ৩৪/৪ বাংলাদেশ, নিশ্চিত পরাজয়ের মুখে। সেই ত্রাতা মুশফিক-লিটন জুটি উইকেটে। বার বার ওদের হাত ধরে রক্ষা হবে বলে মনে হয় না। কাল যখন লাঞ্চ বিরতির আগে বৃষ্টি এলো বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় আফসোস, শ্রীলংকা নাকি বেঁচে গেলো। চতুর্থ দিনশেষে বাংলাদেশকেই এখন বৃষ্টি নর্তকী নাচতে হবে।

ঘরের মাঠ,  চেনা পরিবেশ,  টিম টাইগার্সদের অভয়ারণ্য।  এক ইনিংসে একবার হতে পারে। কিন্তু প্রথম ইনিংসে ৭ ওভার শেষ না হতেই ২৪/৫ উইকেট উবে গেলো। দ্বিতীয় ইনিংসেও ২৩/৪। প্রথম ইনিংসে ৬ জন রান করেনি। ৯ জন মিলে করেছে মাত্র ৪৯। মুশফিকের ১৭৫* আর লিটনের ১৪১ না থাকলে কিছুই থাকে না। দুই ইনিংসে চশমা পেয়েছে তামিম আর মোমিনুল। জয় জীবন পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেনি। শান্তকে আর দলে রাখার অর্থ দেখি না।

২২ বছরের বাংলাদেশ টেস্টশিশুর আক্কেল দাঁত গজায়নি। এই ধরনের ভঙ্গুর দল (টপ অর্ডার ব্যাটিং, তাও আবার মুশফিক থাকবে না) নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে কি করবে বাংলাদেশ?

আজ যখন শ্রীলংকা শুরু করে ৫ উইকেট হারিয়ে স্কোর তখন ৮২ রান পিছিয়ে। পরম আস্থার সঙ্গে অসীম ধৈর্য নিয়ে ব্যাটিং করলো মাথেউজ-চান্দিমাল জুটি। ১৯৯ রানের ষষ্ট উইকেট জুটি বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিলো। ১৪৫* রানে অপরাজিত রইলো ম্যাথিউস।  চান্দিমাল ১২৪ রানে আউট হবার পর সারাদিন ভালো বোলিং করতে থাকা শাকিব (৫/৯৬) এবং এবাদত (৪/১৪৩) ওদের ইনিংস ৫০৬ রানে গুটিয়ে দেয়।

যেই ভয়টি ছিল বাংলাদেশকে নিয়ে, লম্বা পরিসরের ক্রিকেট খেলতে অনভ্যস্ত বাংলাদেশ ১৬৫.১ ওভারের ক্লান্তি পুষিয়ে টিকে থাকতে পারবে কিনা। তাই হলো। ২৩ রানেই আবারো ৪ জন ফিরে আসলো তাঁবুতে। তবুও ভাগ্য, খেলাটি একটু আগে শেষ হয়েছে। যদি প্রকৃতি আকাশ খুলে উদার হাতে স্টেডিয়াম রাতে ভাসিয়ে না দেয় তাহলে মুশফিক-লিটনের রক্ষা হবে বলে মনে হয় না।

শ্রীলংকা সুন্দর দেশ, এখন সংকটে। ভালো মানুষগুলোর জন্য একটি জয় এই মুহূর্তে অনেক প্রয়োজন। বাংলাদেশ এই ম্যাচে ড্র ডিজার্ভ করে না।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

eighteen − 16 =