নূহাশের ‘মুভিং বাংলাদেশ’ পেলো তাইপেই ফিল্ম ফান্ড

বাংলাদেশি চলচ্চিত্র নির্মাতা নুহাশ হুমায়ুনের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মুভিং বাংলাদেশ’ তাইপেই ফিল্ম ফান্ড থেকে ২.৫ মিলিয়ন তাইওয়ান ডলার বাজেট পেয়েছে। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ৭৬ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে টিফকম নির্বাচিত প্রকল্পটি তার বাজেটের ৬০ শতাংশ অর্জন করেছে এবং বাকি অংশটুকু টোকিও থেকে তোলার লক্ষ্য রয়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ভ্যারাইটি এ তথ্য প্রকাশ করেছে। পত্রিকাটি জানায়, চলচ্চিত্রটি নির্মাণ বাজেট ধরা হয়েছে প্রায় ৬ কোটি টাকা।

টোকিও আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে ছায়াছবির বাজার সম্প্রসারণ। পাশাপাশি চলচ্চিত্র তৈরির প্রক্রিয়া ও বিপণনে জাপানি ও বিদেশের নির্মাতাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া। মূল চলচ্চিত্র উৎসবের পাশাপাশি ভিন্ন এই আয়োজন প্রতিবছরই চলে আসছে। সংক্ষেপে এটি পরিচিত টিফকম নামে।

টোকিওর আগে, ‘মুভিং বাংলাদেশ’ ভারতের ফিল্ম বাজার সহ-প্রযোজনা বাজারে অংশগ্রহণ করেছিল এবং সেখান থেকে কান ফিল্ম মার্কেটে পিচ করার জন্য সাতটি শীর্ষ প্রকল্পের মধ্যে একটি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিল। এটি লোকার্নোর ওপেন ডোরস উদ্যোগেরও অংশ ছিল এবং লস অ্যাঞ্জলেসের ফিল্ম ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রযোজনা ল্যাবের জন্যও নির্বাচিত হয়েছে।

কনটেন্ট মার্কেট এই আয়োজনের একটি মূল অংশ। এখানে বিভিন্ন দেশের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এবং চলচ্চিত্র নির্মাণসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান, যেমন ছবির প্রযোজক, বিক্রয় এজেন্ট, বিতরণ ও বিনিয়োগ কোম্পানিসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নিয়ে থাকেন। আয়োজনে আগত অতিথিরা ছবির বাণিজ্যিক দিক নিয়ে আলোচনা করেন। চলচ্চিত্রের নতুন বাজার খোঁজার চেষ্টা করেন। পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করেন।

নুহাশ হুমায়ূন বলেন, “আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি ‘মুভিং বাংলাদেশ’কে বিশ্বের কাছে উপস্থাপনের করে তোলার জন্য।”যোগ করে তিনি আরও বলেন, “এটি খুব আশ্চর্যজনক যে, বাংলাদেশে এবং এর বাইরেও অনেক লোক এই প্রকল্পে আস্থা রাখে।”

চলচ্চিত্রটির প্রযোজক বিজন ইমতিয়াজ বলেন, “স্টার্ট আপের ঘটনাটি একটি বিশ্ব সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে এবং বাংলাদেশে তরুণরা ব্যবসা শুরু করেছে এবং এই নতুন স্বাভাবিক সময়ে তাদের জীবন পরিবর্তন করেছে। ‘মুভিং বাংলাদেশ’ হল ‘পাঠাও’ নামের একটি দুর্দান্ত স্টার্ট-আপের সাফল্যের গল্প। এটি অবশ্যই বিশ্বব্যাপী বিশেষ করে এশিয়ার দর্শকদের সঙ্গে অনুরণিত হবে।”

একদল তরুণ ঢাকার তীব্র যানজটে অতিষ্ঠ হয়ে কীভাবে নিজেরাই একটি উপায় বের করে, তৈরি করে অ্যাপ—পাঠাও, সে গল্পই উঠে আসবে ‘মুভিং বাংলাদেশ’ চলচ্চিত্রে। ২০২২ সাল থেকে শুরু হবে চলচ্চিত্রটির চিত্রায়ণ।

দেশ রূপান্তর

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

twenty + seven =