পশ্চিমবঙ্গে সম্মানীত হলেন সাংবাদিক, সাহিত্যিক ইরানী বিশ্বাস

কলকাতার শ্যামবাজারে সেরাম অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল “ আগামী বাংলা সৃজনশীল সম্মাননা” ও গুণীজন সন্নিবেশ। সাংবাদিকতা ও সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখার জন্য  এবছর দেবরানি রায় স্মৃতি সম্মাননা-১৪২৬ প্রদান করা হয় বাংলাদেশের লেখিকা এবং সাংবাদিক ইরানী বিশ্বাসকে। সম্মাননা স্মারকটি তুলে দেন পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত কবি কমল দে শিকদার এবং মানপত্রটি তুলে দেন কবি শ্যামা ভট্টাচার্য । বিশিষ্ট কবি ও সাংবাদিক শুভদীপ রায়-এর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সঙ্গীতশিল্পী আর্য শাওন ভট্টাচার্যের কণ্ঠে আবহ সঙ্গীত রবি ঠাকুরের শ্যামা সঙ্গীত বিপুল তরঙ্গ রে….. পরিবেশিত হয়। সদ্য প্রায়ত লেখক ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়কে স্মরণ করে এক মিনিট নীরবতা পালনের আহ্বান জানান অনীশ ঘোষ। একই সঙ্গে প্রায়ত লেখক সম্পর্কে স্মৃতিচারণা করেন কবি ও সংগঠক সুরঙ্গমা ভট্টাচার্য।

উত্তরীয় পরিধান ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য  দিয়ে অনুষ্ঠানের অতিথিবরণ পর্ব শুরু হয়। প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন কমল দে সিকদার, রতনতনু ঘাটী, অনীশ ঘোষ, কবি আলেসান্দ্রো অনিল ( ইতালি ), কবি সৌমিত বসু, কবি শেলী সেনগুপ্তা (বাংলাদেশ ), সাংবাদিক ইরানী বিশ্বাস ( বাংলাদেশ), কবি ও সাংবাদিক জাকির আহম্মদ (বাংলাদেশ ), কবি ও সাংবাদিক সুশান্ত নদী, কবি ও শিল্পী পাপিয়া ঘোষাল (লন্ডন) প্রমুখ।

এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সত্যপ্রিয় মুখোপাধ্যায়, সৌমিত বসু, অদীপ ঘোষ, রামকিশোর ভট্টাচার্য, কমল দে শিকদার, ইন্দ্রজিৎ ভট্টাচার্য, সুরঙ্গমা ভট্টাচার্য, বাংলাদেশের কবি শেলী সেনগুপ্তা, অবশেষ দাস, অমিতাভ মৈত্র অমিত চক্রবর্তী, সুশান্ত নদী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ইরানী বিশ্বাসের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে কয়েকজনকে সম্মাননা জানানো হয়।

আয়োজক সংস্থার পক্ষে শুভদীপ রায় এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল এই নান্দনিক আয়োজন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

17 − 6 =