পাঁচ দিনে সিদ্ধার্থ নাটকের ছয় প্রদর্শনী

গত বছর আগস্টে মঞ্চে আসে আরশিনগর নাট্যদলের চতুর্থ প্রযোজনা ‘সিদ্ধার্থ’। হেরমান হেসের লেখা একই নামের উপন্যাসটি অনেকেরই প্রিয়। সে উপন্যাসটির নাট্যরূপ দিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক ও নির্দেশক রেজা আরিফ। নির্দেশনাও দিচ্ছেন রেজা। টানা তিন দিনে চারটি প্রদর্শনী হয়েছিল নাটকটির। আবারও মঞ্চে উঠছে নাটকটি। এবার টানা পাঁচ দিনে ছয়টি প্রদর্শনী নিয়ে হাজির হচ্ছে আরশিনগর।

২৬ থেকে ৩০ জানুয়ারি রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হবে সিদ্ধার্থ। প্রথম দিন ২৬ জানুয়ারি বিকেল ৪টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে দুটি প্রদর্শনী। ২৭, ২৮, ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দেখা যাবে নাটকটি।

সিদ্ধার্থ নাটকের গল্পে দেখা যাবে, ব্রাহ্মণকুমার সিদ্ধার্থ গৃহত্যাগী হয়ে সন্ন্যাস গ্রহণ করে। দীর্ঘ তিন বছর কঠোর তপস্যার পর সন্ন্যাস ত্যাগ করে গৌতম বুদ্ধ সমীপে গমন করে। কিন্তু বুদ্ধের শিক্ষাও তাকে আটকে রাখতে পারে না। সে অজানার উদ্দেশে গমন করে এবং অবশেষে এক নগরে উপস্থিত হয়। নগরের শ্রেষ্ঠ বারবনিতার প্রেমে পড়ে। দৈহিক কামনা, ভোগবিলাসে ভেসে যেতে যেতে একদিন তার বোধোদয় হয়। তার যত ক্লেদ আর কালিমা ধুয়ে ফেলতে নদীর কাছে আসে। তার সেদিন মনে হয়, এই নদীর কাছেই আছে সব প্রশ্নের উত্তর।

নির্দেশক রেজা আরিফ বলেন, ‘বুদ্ধের মতে—যা আনন্দের নয়, যা সুখের নয়, যা প্রত্যাশার নয়, যা বরণের নয়, যা প্রেমের নয়, যা খুশির নয়—তাই দুঃখ। আর দুঃখ থেকে চিরমুক্তির নাম নির্বাণ। নির্বাণ কথাটির সাধারণ অর্থ নিভে যাওয়া। প্রদীপ যেমন তেলের অভাবে নিভে যায়, তেমনি যেসব কারণে দুঃখ আসে—সেসব কারণকে সরিয়ে ফেলতে পারলে দুঃখ নির্বাপিত হয়। বুদ্ধের এই দর্শন ছড়িয়ে দিতে মঞ্চে আমাদের এই প্রয়াস।’

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

15 − five =