‘পাঠান’ মুক্তি উপলক্ষ্যে সিনেমা হলগুলো টিকেটের দাম বাড়িয়েছে

‘পাঠান’ বাংলাদেশে মুক্তি পাচ্ছে শুক্রবার (১২ মে)। ছবিটি মুক্তি উপলক্ষ্যে দেশের অধিকাংশ সিনেমা হল টিকেটের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। হল মালিকরা জানাচ্ছেন, বাধ্য হয়ে তারা এমনটি করেছেন।

হিন্দি ছবি চালানোর জন্য সিনেমা হলে ডিসিপি সার্ভার অথবা বিশেষ ধরনের সার্ভার লাগে। এ মুহূর্তে স্টার সিনেপ্লেক্সের সাতটি শাখা, চট্টগ্রামের সিলভার স্ক্রিন, ব্লকবাস্টার সিনেমাস ছাড়া কোনো হলেই ডিসিপি সার্ভার নেই। যার কারণে অন্য হলগুলোকে ‘পাঠান’ চালানোর জন্য ছবিটির আমদানিকারক ও পরিবেশক অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্টের দেওয়া সার্ভার নিতে হচ্ছে। এর জন্য তাদের সাপ্তাহিক বা মাসিক ভাড়া দিতে হবে না। তবে এক লাখ টাকা ‘সিকিউরিটি মানি’ হিসেবে জমা দিয়ে এ সার্ভার নিতে হয়েছে।

সারাদেশের ৪১টি সিনেমা হলে প্রতিদিন ২০৬টি শো চলবে পাঠানের। এর মধ্যে বড় ও প্রভাবশালী সিনেমা হলগুলো ব্যতীত অন্য হল মালিকদের ‘এমজি (মিনিমাম গ্যারান্টি)’ বা ‘ন্যূনতম ভাড়া’ হিসেবে ১ লাখ টাকা থেকে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত দিতে হচ্ছে আমদানিকৃত এ হিন্দি ছবিটি চালাতে।

মধুমিতায় টিকেটের দাম দ্বিগুণ বৃদ্ধি করে সর্বনিম্ন ১০০টাকা ও সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। হলটির কর্ণধার ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ  বলেন, ‘কয়েকটা কারণে আমাদেরকে টিকেটের দাম বাড়াতে হয়েছে। প্রথমত, সার্ভারের জন্য এককালীন একটা অর্থ, ই-টিকেটিং সিস্টেমের জন্য ৭-৮ লাখ টাকার কম্পিউটার কিনতে হয়েছে আমাদের। তাছাড়া অনেক হলে তারা এমজিতে ছবি দিলেও আমরা শেয়ারে এনেছি। কিন্তু অন্য ছবির তুলনায় শেয়ার মানি বেশি দিতে হবে। সাধারণ টিকেটের প্রবেশ মূল্যের অর্ধেক দিই আমরা। কিন্তু এ ছবির জন্য তাদেরকে ৫৫ শতাংশ দিতে হবে। পরিবেশক তো প্রথমে টিকেটের গ্রসের উপর ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ শেয়ার চেয়েছিল। পরে নেটের উপর চেয়েছিল। আমরা রাজি হইনি।’

সিরাজগঞ্জের মিনি সিনেপ্লেক্স রুটসও ‘পাঠান’ মুক্তি উপলক্ষে টিকেটের মূল্য ৫০ টাকা বাড়িয়ে ২৫০ ও ৩০০ টাকা করা হয়েছে। তিনি জানান, বাংলাদেশি ছবিগুলোতে তারা যে শেয়ার দেন তার চেয়ে বেশি নিচ্ছে ‘পাঠান’ পরিবেশক। তিনি বলেন, পরিবেশক যদি শেয়ারের পরিমাণ কমিয়ে দেন তাহলে আমরাও টিকেটের মূল্য কমিয়ে দিবো।’

এদিকে অগ্রিম বুকিং মানি হিসেবে ‘পাঠান’ পরিবেশক ৫০ লাখ টাকার অধিক টাকা ইতোমধ্যে আয় করেছেন বলে জানা গেছে। সরকারি কাগজপত্রে ১০ হাজার ডলারে ছবিটি আমদানি করা হয়েছে বলা হলেও একটি বিশেষ সূত্র বলছে ১ লাখ ডলারে আনতে হয়েছে ছবিটি। যার কারণে পরিবেশক সংস্থা হল মালিকদের কাছ থেকে অধিক শেয়ার বা ভাড়া নিচ্ছেন। এর প্রভাব গিয়ে পড়েছে টিকেটের দামে। যদিও পরিবেশ সংস্থার কর্ণধার অনন্য মামুন পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আপনি ভুল জানেন। বিষয়টি এমন নয়।’

সারাবাংলা

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

14 + 3 =