পাফ ড্যাডিকে নিয়ে সজল-পরী

রাজনীতিবিদ থেকে সিনেমার নায়িকা—সবার ওপরেই আছে ড্যাডির প্রভাব! এমন কথা প্রায়ই শোনা যায়। কিন্তু কে এই ড্যাডি? কী এমন তার ক্ষমতা? সেই ড্যাডির গল্প নিয়েই তৈরি হয়েছে ওয়েব সিনেমা ‘পাফ ড্যাডি’। এতে একজন উঠতি নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরীমণি, উদীয়মান রাজনীতিবিদের চরিত্রে আব্দুন নূর সজল, ক্ষমতাবান রাজনীতিবিদের চরিত্রে শহীদুজ্জামান সেলিম। সিনেমাটির নাম ভূমিকায় পাফ ড্যাডির চরিত্রে দেখা যাবে আজাদ আবুল কালামকে। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ বিডিতে প্রকাশ পাবে পাফ ড্যাডি।

মুক্তি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রকাশ পেয়েছে সিনেমাটির ট্রেলার। শুরুতেই ভয়েস ওভারে শহীদুজ্জামান সেলিমকে বলতে শোনা গেল, ‘দুনিয়াতে দুই ধরনের লোক আছে। একদল মারে, আরেক দল মার খায়…আর কাউকে মারতে হলে যতটা না শক্তি লাগে, তার চেয়ে বেশি লাগে সাহস।’

২ মিনিট ১১ সেকেন্ডের ট্রেলারে দেখা গেল পরপর দুটি সিনেমা ফ্লপ হওয়ার পর নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে নায়িকা টিনা। সিনেমা হিট করাতে সে শরণাপন্ন হয় পাফ ড্যাডির। অন্যদিকে উদীয়মান রাজনীতিবিদ চরিত্রে অভিনয় করা সজলও নমিনেশন জমা দেওয়ার আগে দোয়া চাইতে যায় পাফ ড্যাডির কাছে। শুধু রাজনীতিবিদ কিংবা নায়িকাই নয়, পাফ ড্যাডির রহস্যের জালে আটকে পড়তে দেখা যায় সাধারণ মানুষ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরও! ট্রেলারটি বলে দিচ্ছে, আধ্যাত্মিক এবং বাস্তবতার সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে পাফ ড্যাডি সিনেমার গল্প। সত্যিই কি অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী এই পাফ ড্যাডি? নাকি সবই তার ভণ্ডামি? নাকি এসব ঘটনার আড়ালে আছে অন্য কোনো রহস্য? সব উত্তর জানা যাবে ওয়েব সিনেমাটি রিলিজ হওয়ার পর।

পাফ ড্যাডি নিয়ে সজল বলেন, ‘সিনেমায় আমি একজন উদীয়মান রাজনীতিবিদ। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেষ্টা-তদবিরের কমতি নেই আমার। পাফ ড্যাডির সঙ্গে যোগাযোগটা মূলত সে কারণেই। তবে শেষ পরিণতি জানতে হলে দেখতে হবে সিনেমাটি।’

ওয়েব সিনেমাটি নিয়ে নির্মাতা সহিদ উন নবী বলেন, ‘প্রতিটি মানুষের জীবনে একটা ফাদার ফিগার বা বস থাকে। তাদের আমরা “বাবা” বলি। সাফল্য পাওয়ার জন্য তাদের সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। কেউ মন থেকে সহযোগিতা করে, আবার কেউ নিজের সুবিধার জন্য করে। মানুষের জীবনে সেই বাবাদের প্রভাব নিয়েই পাফ ড্যাডির গল্প।’

২০১৯ সালে যখন পাফ ড্যাডির কাজ শুরু হয়েছিল তখন বলা হয়েছিল, এটি ৭ পর্বের ওয়েব সিরিজ। পরে সিনেমা হিসেবেই মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বদলে যায় নির্মাতা। পাফ ড্যাডি শুরু করেছিলেন নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল। কিছু অংশ শুটিং করার পর তিনি সরে দাঁড়ালে কাজটি যৌথভাবে শেষ করেন সহিদ উন নবী ও মুশফিকুর রহমান মঞ্জু। এতে আরও অভিনয় করেছেন সালাহউদ্দিন লাভলু, ইন্তেখাব দিনার, ফারুক আহমেদ, বিজরী বরকতউল্লাহ, এ কে আজাদ সেতু প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

eight + sixteen =