পিএসজিকে জয় উপহার দিলেন মেসি, রামোস

নিজে এক গোল করেছেন, আর সতীর্থ সার্জিও রামোসকে দিয়ে করিয়েছেন আরো এক গোল। এভাবেই কাল লিগ ওয়ানে নিসের বিরুদ্ধে পিএসজির ২-০ গোলের জয়ে অবদান রেখেছেন লিওনেল মেসি। এই জয়ে ছয় পয়েন্টের ব্যবধানে এগিয়ে গিয়ে কোচ ক্রিস্টোফে গাল্টিয়ারের উপর চাপ কিছুটা হলেও চাপ কমিয়েছে পিএসজি।

২৬ মিনিটে নুনো মেনডেসের ক্রস থেকে মেসি দলকে এগিয়ে দেন। এরপর পিএসজির গোলরক্ষক গিয়ানলুইগি ডোনারুমা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সেভ করে নিসকে হতাশ করেছেন। নিসের ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার ডাটের শট পোস্টে লেগে ফেরত আসে। ম্যাচ শেষের ১৪ মিনিটে আগে মেসির কর্ণার থেকে রামোসের হেডে পিএসজির জয় নিশ্চিত হয়। টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের পর শেষ পর্যন্ত জয়ের দেখা পেল পিএসজি। ঐ পরাজয়গুলো গাল্টিয়ারের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিল। এমনকি মৌসুম শেষে তার বিদায়ও দেখে ফেলেছিল অনেকেই। কালকের এই জয় নিশ্চিতভাবেই গাল্টিয়ারের কাছে অনেক কিছু। গত মৌসুমে নিসের দায়িত্বে থাকা গাল্টিয়ার স্বাগতিক সমর্থকদের ম্যাচ শেষে প্রশংসা করেছেন। বিশেষ করে তার ক্যান্সারে আক্রান্ত ৮৩ বছর বয়সী মায়ের প্রতি সমবেদনা জানানোর কারনে নিস সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন গাল্টিয়ার। গত মৌসুমে গাল্টিয়ারের অধীনে নিস পঞ্চম স্থানে থেকে লিগ শেষ করেছিল।

এই ম্যাচের আগে দ্বিতীয় স্থানে থাকা লেন্স শুক্রবার জয়ী হয়ে পিএসজির সাথে পয়েন্টের ব্যবধান তিন’এ নামিয়ে এনেছিল। আগামী সপ্তাহে টেবিলের শীর্ষ এই দুই দল একে অপরের মোকাবেলা করবে।  গাল্টিয়ার বলেছেন, ‘আমরা জানতাম আমাদের ঘাড়ে অনেক বড় চাপ রয়েছে। কারন একদিকে আমরা বাজে পারফর্ম করছি, অন্যদিকে লেন্স জিতে চলেছে। নিস যেহেতু ভাল দল সে কারনে আজ চাপটা আরো বেশী ছিল। অবশ্যই এবারের মৌসুমে এটাই আমাদের সেরা পারফরমেন্স নয়। কিন্তু খেলোয়াড়রা সবাই লড়াই করেছে। এই তিন পয়েন্ট অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। ছয় পয়েন্ট হারিয়ে ছয় পয়েন্ট লিড নেয়া সত্যিই বিশেষ কিছু। কিন্তু আমরা জানি আগামী সপ্তাহে মৌসুমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ অপেক্ষা করছে।’

জানুয়ারিতে লুসিয়েন ফাভরের জায়গায় কোচ হিসেবে পিএসজির সাবেক মিডফিল্ডার দিদিয়ের দিগার্ড যোগ দেবার পর সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ১৫ ম্যাচে এটি নিসের প্রথম পরাজয়। এই পরাজয় সত্বেও নিস লিগ টেবিলের অষ্টম স্থানেই রয়েছে।

এবারের গ্রীষ্মে চুক্তি শেষ হয়ে যাবার পর মেসির প্যারিস ছাড়া গুঞ্জন রয়েছে। যে কারনে তার  সাম্প্রতিক পারফরমেন্সের ঘাটতি কিছুটা হলেও নজড়ে পড়েছে, আর এতেই পিএসজির সমর্থকদের দুয়ো ধ্বনিও শুনতে হয়েছে বিশ্বকাপ জয়ী এই অধিনায়ককে। কাল তার গোলেই এগিয়ে যায় সফরকারীরা। মৌসুমে এটি মেসির ১৪তম লিগ ওয়ান গোল। এই গোলের আগে দানিলো পেরেইরার শট পোস্টে লেগে ফেরত আসে। মাত্র ১০ মিনিটে মিডফিল্ডার রেনাটো সানচেজ ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়লে তা পিএসজির জন্য দু:শ্চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। নিকোলাস পেপে ও টেরেম মোফির শট বিরতির আগে রুখে দেন ডোনারুমা।

দ্বিতীয়ার্ধের ৬ মিনিটে ডাটের শট বারে লাগলে সমতায় ফেরা হয়নি নিসের। এরপর পেপে ও ইউসুফ এডায়শিমিয়ের শট রুখে দিয়ে আবারো পিএসজিকে রক্ষা করেছেন ডোনারুমা। ৭৬ মিনিটে কর্ণার থেকে রামোসের হেডে পিএসজির জয় নিশ্চিত হয়। ম্যাচের শেষ ভাগে দানিলোর হেড ক্রসবারে লেগে ফেরত এলে  ব্যবধান বাড়াতে পারেনি পিএসজি।

এর আগে দিনের শুরুতে লিলিকে ১-০ গোলে হারিয়ে সেপ্টেম্বরের পর লিগে প্রথম জয় তুলে নিয়েছে এ্যাঞ্জার্স।

বাসস

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

20 − 5 =